বিশেষ
রাম মন্দির নির্মাণের বেলেপাথর উত্তোলিত হবে অভায়ারণ্য থেকে! সংকটে বন্য প্রাণ
নিজস্ব প্রতিনিধি : উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, হয়ে গিয়েছে ভূমি পুজো। এবার অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। আর মন্দির তৈরিতেই লাগছে বিপুল পরিমাণে গোলাপি বেলেপাথর। বেশ কিছু দিন থেকেই ধন্ধ ছিল যে কোথা থেকে আসবে এই পরিমাণ মূল্যবান বেলেপাথর? এবার সেই প্রশ্নের যা উত্তর পাওয়া গেল তা খুব একটা ভালো বলে মেনে নেওয়া যায় না।
রাজস্থানে রয়েছে ভরতপুর বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। এই পাথর নাকি সেখান থেকেই সংগৃহীত হবে! গোলাপি বেলেপাথর সমৃদ্ধ ভরতপুর অভয়ারণ্য থেকে শুধুমাত্র রাম মন্দির নির্মাণের জন্যই খনন কার্য চালানো হবে এই পাথরের উদ্দেশে।
উল্লেখযোগ্য বিগত ৪ বছর ধরে রাজস্থানের এই অন্ধলে বন্ধ আছে পাথর খনন। রাজস্থান সরকার ২০১৬ সালে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা এবং অবকাশ প্রদান হেতু বন্ধ করেছিল পাথরের খনন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খননকার্যের একটানা শব্দ প্রভাবিত করে বন্যপ্রাণীদের। ব্যাহত হয় তাদের সাধারণ জীবন যাপন। এই কারণেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তাতে বন্ধ হয়নি খনন। চোরাগোপ্তা পাথর উত্তোলন চলতই। কালো বাজারে বিক্রি হত সেসব মূল্যবান পাথর। কিছুদিন আগেও ওই অঞ্চলে ধরা পড়েছিল গোলাপি বেলেপাথর বোঝাই ২৫টি ট্রাক।
রাজস্থান সরকারের কাছে অজানা নয় এই তথ্য। এর পরেও শেষমেশ খননের অনুমতি দেয় সরকার। রামমন্দির নির্মাণে যাতে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ দিয়েই খননের অনুমতি দেওয়া হয়, কিছু দিন আগে এমনই আবেদন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
কেন্দ্রের থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের থেকে জরুরি অবস্থায় অনুমতি আদায়ে খুব একটা অসুবিধা হয়নিা। জানা গেছে, ভরতপুরের বানসি পাহাড়পুর ব্লকের বারেথা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যেই শুরু হবে এই খননের প্রক্রিয়া।
নির্মিত হবে বহু প্রতীক্ষিত ‘ঈশ্বর রাম’ এর মন্দির কিন্তু ধ্বংসের পথে ‘বন্যপ্রাণ’ এর বাসস্থান। এটাই প্রথমবার না। এর আগেও মোদি সরকারের আমলে এমন অরণ্য নিধন এর নিদর্শন পাওয়া গেছে, নিলাম করে দেওয়া হয়েছে অভায়ারণ্য স্থিত কয়লা খনি। উন্নয়নের অজুহাতে গোয়া-কর্নাটক এও কাটা পড়তে চলেছে হাজার হাজার গাছ।
সব শেষে একটা প্রশ্ন “বর্তমান সময়ে শ্রী রাম মর্তে থাকলে প্রভু কি এভাবেই শেষ হয়ে যেতে দিতেন বন্য প্রানীদের?”
বিশেষ
টিআরপি স্ক্যাম : অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল!
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিএএ, এনআরসি হোক বা সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা, উদ্ধব সরকারের সঙ্গে সংঘাত হোক বা টিআরপি কেলেঙ্কারী, গত বছরেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী।
বলিউড সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। গত বছর অক্টোবর মাসে টিআরপি তালিকায় দেশে শীর্ষে থাকা এই নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ভুয়ো টিআরপি রেটিং ব়্যাকেটে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন মুম্বই পুলিশ কমিশানার পরমবীর সিং।
[ আরো পড়ুন : গুগলে ‘chutiya news anchor’ লিখলেই সার্চ রেজাল্টে অর্ণব এর নাম!]
তখন মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, চ্যানেলের রেটিং বাড়ানোর জন্য অনৈতিকভাবে BARC-এর প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন অর্ণব গোস্বামী। তাও আবার একবার নয়, একাধিকবার বার্ক-প্রধান ‘ঘুষ’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
গত ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট মামলায় এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে ‘রিমান্ড নোট’ জমা দেয় মুম্বই পুলিশ। যে অভিযোগনামায় দাবি করা হয়েছে যে, নিজস্ব পদমর্যাদার অপব্যবহার করে পার্থ দাশগুপ্ত একাধিক চ্যানেলে টিআরপি এরপর করেছেন।
[ আরো পড়ুন : গুগলে “gujarati actor” লিখলেই সার্চ রেজাল্টে ভেসে আসছে নরেন্দ্র মোদীর ছবি! ]
এবার অর্ণব গোস্বামী এবং বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ অর্ণব গোস্বামীর কিছু বক্তব্যের স্কিনশর্ট টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। সেই চ্যাটে টিআরপি কেলেঙ্কারি সাথে সম্পর্কিত অর্নবকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্য চাইতে দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত মুম্বাই পুলিশি জেরায় অর্ণবের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার কথাও কবুল করেছেন। আর সেই টাকা নিয়েই রিপাবলিক টিভির দর্শক সংখ্যা বাড়াতে তিনি কারচুপি করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পুলিশকে।