রাজ্য
‘মানুষের জীবন আগে, বিশ্বাস পরে’, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাই কোর্টের!
নিজস্ব প্রতিনিধি : মানুষ অসাবধান হতে থাকলেও করোনা যে এখনও চলে যায়নি সেটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। তার উপর আবার নতুন স্ট্রেনের ভাইসাস নিজের প্রকাশ ঘটিয়েছে। ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যাচ্ছেনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা করলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকেই। তবে রাজ্য কিভাবে এই আশঙ্কা দুর করতে বা গণ সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত সে বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট।
এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে অজয় দে নামক এক ব্যাক্তির হাত ধরে। গত ৪ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। সংক্রমণের সম্ভাবনা উল্লেখ করে তিনি গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করার আবেদন জানান। এই আবেদনের পাশাপাশি মেলাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য গাইডলাইন জারির আরজি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের সারমর্ম, “মানুষের জীবন আগে, বিশ্বাস তারপর।” প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কোর্ট। মারণ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আমাদের মুখ ও নাক নিঃসৃত ড্রপলেটের মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে গঙ্গাসাগর মেলায় এক সাথে বহু পূর্ণর্থির একই স্থানে স্নান করায় সেই জায়গার জলে এই ভাইরাস মিশে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। কাজেই গণসংক্রমনের আশঙ্কা মাথা চাড়া দিয়েছে।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।