দেশ
আবারও উত্তর প্রদেশ! জেল থেকে ছাড়া পেয়েই কিশোরীকে পুড়িয়ে মারল ধর্ষকরা।
নিজস্ব প্রতিনিধি : উন্নাও থেকে হাথরাস নারী নির্যাতনের জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে পরিচিত এই ঘটনাগুলির জন্য এখনও অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। এর মাঝেই ঘটে গেল একটি পাশবিক ঘটনা।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ১৫ বছরের এক কিশোরীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণে অভিযুক্তদের। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সাত জন অভিযুক্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা ওই ১৫ বছরের কিশোরীকে জোর করে তাদের জমির পাশে একটি ঝোপে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তারপর আরও কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে মেয়েটির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলে মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারপর থেকেই তাদের কয়েকজন আত্মীয় ১৫ বছরের ওই কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু, তাতে রাজি হয়নি নির্যাতিতার পরিবার।গত মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ও দাদা চাষের কাজ করতে বাড়ির পাশের জমিতে গিয়েছিলেন। আর মেয়েটি রান্নাঘরে তার মায়ের সঙ্গে কাজ করছিল। সেসময় আচমকা তাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে ধর্ষণে অভিযুক্তরা ও তাদের কয়েকজন সঙ্গী। তারপর নির্যাতিতা কিশোরীর শরীরে পেট্রল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে নিজের মায়ের সামনেই ছটফট করতে করতে মাটিতে পড়ে যায় নির্যাতিতা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।