দেশ
বিদেশ থেকে তরল অক্সিজেন আমদানি করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে কি আগামী দিনে ভয়াবহ হবে করোনার রূপ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের ফলে স্তব্ধ মানব জীবন। সুস্থতার হার বাড়লেও প্রতিমুহূর্তে সংক্রমনের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তা ভাবিয়ে তোলার বিষয়। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এ বছর শীতের সময় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, শীতে কোভিড সংক্রমণের হার বাড়লে যাতে জোগানে টান না পড়ে, সে কথা চিন্তা করে বিদেশ থেকে তরল অক্সিজেন আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বুধবার সেই উদ্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক লাখ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ সংস্থা এইচএলএল লাইফকেয়ার লিমিটেড।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চাহিদা পূর্ণ করতে প্রতিদিন তরল অক্সিজেন প্রয়োজন। করোনা কলে এই চাহিদা তুঙ্গে। তবে বিদেশ থেকে তরল অক্সিজেন আমদানি ও সরবরাহে আনুমানিক ৬০০-৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে, যা কিনা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিক থেকে দেখতে গেলে কোনও মতেই ছোট একটা খরচ না। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৩.৯৭%রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে, ২.৪৬% রয়েছেন আইসিইউ বিভাগে অক্সিজেন সাপোর্টে এবং ০.৪০% ভরতি রয়েছেন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে।
লকডাউন আরোপ হওয়ার আগে গত মার্চ মাসের গোড়ায় ভারত প্রতিদিন ৬,৪০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন উৎপাদনে সক্ষম ছিল। এর মধ্যে ১,০০০ মেট্রিক টন স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যবহার করা হলেও বাকিটা অক্সিজেন শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে কৃত্রিম অসিজেনের চাহিদা বেড়েছে তার যোগান দেওয়ার মত পরিকাঠামো আমাদের দেশের নেই। এই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় সরকার এবছর এক মাসের অতিরিক্ত স্টক হিসাবে এক লাখ মেট্রিকটন তরল অক্সিজেন মজুদ রাখার পরিকল্পনা আছে। উল্লেখ যোগ্য করোনা আক্রান্তের নিরিখে বর্তমানে আমাদের দেশ বিশ্বে দ্বিতীয়স্থান অধিকার করেছে। এই মুহূর্তে আমাদের দেশে মোট কেস হলো প্রায় ৭৩,১১,০৮৮ টি। প্রতি মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পরেছে দেশবাসীর কপালে। করোনা কলে অর্থনীতির বেহাল দশাও যেন মধ্য ও নিম্নবিত্তের পকেট কাটতে ব্যাস্ত।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।