দেশ
পুত্রসন্তান পাওয়ার লোভ! গুণিনের পরামর্শে নিজের কন্যাকে বলি দিলেন বাবা।
নিজস্ব প্রতিনিধি : পুত্রসন্তান পাওয়ার জন্য গুণিনের কথায় নিজের ৬ বছরের মেয়েকে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঝাড়খণ্ডের লোহারডাগায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সুমন নেগাসিয়া। পেশায় তিনি মজুর। অভিযোগ ছিল, অনেকদিন ধরে পুত্রসন্তানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সুমন। এমন সময় এক গুণিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তিনি গুণিনের কাছে বিষয়টি জানান। নিজের সমস্যা খুলে বলার পর; গুণিন সুমনকে পরামর্শ দেন, পুত্রসন্তান পেতে হলে নিজের মেয়েকে বলি দিতে হবে।
পুত্রসন্তানের জন্য মরিয়া সুমন গুণিনের পরামর্শ পালন করার সুযোগ খুঁজছিলেন। শুক্রবার সেই সুযোগ এসেও গেল। তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। মেয়েকে বাবা অর্থাৎ সুমনের কাছে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি সুমন। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গুণিনের কাছে হাজির হন।
তার পর তাঁরই নির্দেশ মতো মেয়ের গলার নলি কেটে খুন করে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন গুণিন। পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে। এরপর মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পেশরার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘গুণিনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে মেয়েটিকে খুন করা হল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ’।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।