দেশ
‘ক্রিসমাসে চার্চে গেলেই বেধড়ক মার’, অসমের হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিল বজরং দল!
নিজস্ব প্রতিনিধি : অসমের হিন্দুরা এবছর হয়তো বড়দিন পালন করতে পারবেন না, অন্তত বজরং দল তো তাই চায়। অসমের হিন্দুরা বড়দিন বা ২৫ ডিসেম্বর চার্চে গেলে কিংবা ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে তাঁদের বেধড়ক মারধরের হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন – বজরং দল।
ওই ডানপন্থী সংগঠনের তরফে ফতোয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে মেঘালয়ের শিলংয়ে হিন্দুদের উপাসনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারই ‘বদলা’ নিতে অসম এই ফতোয়া জারি করল তারা। ইতিমধ্যেই এই ফতোয়ার নিন্দা করছেন নেটিজেনরা।
অসমের গুয়াহাটির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠু নাথ জানিয়েছেন, ‘খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল মেঘালয়ের শিলংয়ে বিবেকানন্দ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘আর তাই তিনি চান না,অসমের কোনও হিন্দু ভিনধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দিক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বজরং দল হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই শিলচরে একটি অনুষ্ঠান থেকে এই ফতোয়া জারি করা হয়। সেখানে বজরং দলের অনুগামীরা হাজির ছিলেন। তারাও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেন। মিঠু নাথ আরও জানান, “খ্রিস্টানদের উৎসব নিয়ে যারা মাতামাতি করে, তাদের দু’চক্ষে দেখতে পারি না। আমাদের মন্দির বন্ধ করে দেয় ওরা। বড়দিনে কোনও হিন্দুর গির্জায় যাওয়া চলবে না। তার পরেও যদি কেউ যায়, কপালে পিটুনি রয়েছে।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।