দেশ
২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাধারণের প্রবেশ নিষেধ লালকেলায়! কিন্তু কেন?
নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা এখনও বিদায় নেয়নি, এর মধ্যেই ভারতবর্ষের বেশ কয়েকটি রাজ্য শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে পোষ্য হাঁস, মুরগির শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। বার্ড ফ্লু সংক্রমণ রুখতে সোমবারই মহারাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার মুরগি মারা হয়েছে।
সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস, তবে এবার দিল্লির লালকেল্লায় বার্ড ফ্লু আতঙ্ক অনুষ্ঠানের মুখেই। বেশ কয়েক দিন আগে দিল্লির লালকেল্লা থেকে কয়েকটি মৃত কাক উদ্ধার করা হয়। দেশের অন্য কয়েকটি রাজ্যের মতো সেখানেও বার্ড ফ্লু ছড়িয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সেই মৃত কাকের নমুনা জালন্ধরে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি পাঠানো সেই ১৫টি নমুনার মধ্যে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পাখির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত লালকেল্লায় সাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে। এই ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্য হল কোনও ভাবে পর্যটকদের মধ্যে যাতে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।
উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্ট গাজিপুরে মুরগির মাংস বিক্রির বাজার বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে করা আবেদনের শুনানি আপতত পিছিয়ে দিয়েছে। সেই বিষয়ে মার্চ মাসের ৮ তারিখে শুনানি হবে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।