প্রযুক্তি
গুবরে পোকার জীবনে নজর রাখতে তাদের পিঠেই ক্যামেরা!
• গোবরে পোকার পিঠে ক্যামেরা বসালেন বিজ্ঞানীরা
• কামারের ওজন মাত্র ২৫০ মিলিগ্রাম
মৃণাল কান্তি দাস : অজানাকে জানার ইচ্ছেয় মানুষকে অন্যান্য জীবদের থেকে আলাদা করে। এই ইচ্ছায় মানুষকে সময়ে সময়ে বাধ্য করেছে নানান আবিষ্কার করতে। প্রয়োজনের তাগিদই হল উদ্ভাবনী শক্তির জননী। এমনই এক প্রয়োজন হল আমাদের থেকে অতি ক্ষুদ্র কিট পতঙ্গের জীবন বিধির অধ্যান। তাদের অনেক কাছে বিজ্ঞানের চোখ পৌঁছে গেলও‘তাদের দৃষ্টিতে’ তাদের জগৎ দেখা আমাদের এখনও বাকি। সেই উদ্দেশ্যের দিকেই এক ধাপ এগিয়ে গেল ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়। পোকা-মাকড়ের জীবন ধারার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় গুলির অধ্যয়নের স্বার্থে গোবরে পোকার পিঠেই বসানো হল ক্যামেরা।
গোবরে পোকার পিঠে বসানো সেই ক্ষুদ্র ক্যামেরাইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের সেই বিশেষজ্ঞ দল এমনই এক ক্ষুদ্র এবং অত্যন্ত হালকা ক্যামেরার উদ্ভাবন করেছেন, যা কিনা গোবরে পোকার পিঠেই বসানো সম্ভব। এই‘বিটেল-ক্যাম’ ৫ fps (frame per second) এর, কম রেজুলেশনের ফুটেজ ক্যামেরার কাছে থাকা কোন স্মার্টফোনে সঞ্চার করতে পারবে। এই রিসার্চ জার্নাল টি স্থান পেয়েছে Science Robotics Journal – এ। এই ক্ষুদ্র ক্যামেরার ওজন মাত্র ২৫০ মিলিগ্রাম, এই কারণেই বিটেল অনায়াসেই এটি বহন করতে পারে। এই ক্যামেরাটিতে একটি মেকানিক্যাল আর্ম বা যান্ত্রিক বাহু আছে যা ক্যামেরাটি ৬০° পর্যেন্ত ঘুরতে সক্ষম। অবশ্য এই ক্যামেরাতে ধরা পড়া ছবি রেজুলেশন মাত্র ১৬০/১২০, যা প্রযুক্তির উন্নতির সাথেই উন্নত হবে।
উপরের ডানদিকে ছবিটি বিটলে ক্যামেরায় ধরা হয়েছিল, যা রুবিকের কিউবের পাশে দাঁড়িয়ে আছেএই ক্যামেরাটিতে ব্যবহার হওয়া ব্যাটারির ক্ষমতা বাঁচাতে এটি সাথে যুক্ত করা হয়েছে একটি অ্যাক্সেলেরোমিটার, ফলে বিটল চলাফেরা করলে তবেই এই ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করতে শুরু করে। একবার চার্জ করার পর এই ব্যাটারি ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজেকে টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে। উল্লেখযোগ্য, এই পরীক্ষাটি করার সময় কোন বিটেল ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শুধু‘বিটেল-ক্যাম’ এই থেমে থাকেনি এই দল, তাদের দাবি তারা বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্র রোবট, যা কিনা ওয়ারলেস প্রযুক্তি সম্বলিত সৃষ্টি করেছেন তারা। এই রোবটটির কোনও চাকা নেই, কম্পনের মাধ্যমেই এটি চলাচল করে। তাদের দাবি এটিই পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রোবট
প্রযুক্তি
‘100% নিশ্চিত থাকতে পারেন’, ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রশ্নে জানালো হোয়াটসঅ্যাপ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান প্রজন্ম থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ আনকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তথ্য আদান-প্রদানের ভাল মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্ক চলছে। সেই বিতর্ক হল, আপনার মোবাইল নম্বর, ফোনের তথ্য, আইপি অ্যাড্রেস, গ্রাহকের বার্তা বিনিময়ের প্রকৃতি, লেনদেনের তথ্য, লোকেশন হিস্ট্রি এবং আরও একাধিক তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তুলে দিতে পারে Facebook-কে।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসি তে সম্মতি আপনি এখনই বা পরে জানাতে পারেন। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্মতি না দিলে এই অ্যাপের পরিষেবা আর পাবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার প্রাইভেসি পলিসি বদল সংক্রান্ত নতুন নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। এবার সেই বিতর্কের মাঝেই হোয়াটসঅ্যাপ মুখ খুলল।
এদিন হোয়াটসঅ্যাপের তরফে একটি ট্যুইট করে বলা হচ্ছে, ‘বাজারে গুজব রটছে, আর তার উত্তরে আমরা জানাতে চাই যে, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনে আপনার গোপন মেসেজ যে WhatsApp সুরক্ষিত রাখবে সে বিষয়ে 100% নিশ্চিত থাকতে পারেন।’ তাদের দাবি হোয়াটসঅ্যাপে প্রাইভেট মেসেজ থেকে শুরু করে গ্রুপ চ্যাট, কন্ট্যাক্টস, কলস, এবং ডেটা সবই সুরক্ষিত থাকবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ যেখানে বলছে গ্রাহকের সব তথ্য নিরাপদেই রয়েছে, তা সত্ত্বেও তো Google সার্চে তথ্য ফাঁস হচ্ছে গ্রাহকদের। WhatsApp-এর জবাব, আপনারা চাইলে মেসেজ তো অদৃশ্যও করে দিতে পারেন ডিসঅ্যাপিয়ার মেসেজ (disappear messages) ফিচারের সাহায্যে, তাই ইউজারের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠা উচিত নয়।