দেশ
অনলাইন পিটিশন নেটিজেনদের, ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির মূর্তি বসানোর আবেদন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : আর দু’মাসের মধ্যেই নেতাজি জয়ন্তী। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজির অবদান যে কতটা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯৪৫ সালে এই মহান নেতার রহস্যজনক অন্তর্ধান ঘটে। কিন্তু তিনি আজ একই ভাবে বিরাজমান দেহের মানুষদের হৃদয়ে।
আমাদের বাংলা বা ওড়িশা নয়, সমগ্র ভারতেই নেতাজি অনুগামীদের সংখ্যা কম নয়। এবার দেশের রাজধানী দিল্লির ঐতিহ্যবাহী ইন্ডিয়া গেটের সামনে মহান এই দেশনায়কের মূর্তি বসানোর দাবি তুলল তাঁর অনুগামীরা। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে ওই মূর্তিটি উদ্বোধনের আবেদনও করা হয়েছে।
দেবদত্ত মাজি নামে এক সমাজকর্মী অনলাইনে এই সংক্রান্ত পিটিশন পোস্ট করেন। তাতেই সাড়া দিচ্ছেন আমাদের দেশের নেটিজেনরা। ইতিমধ্যে ২৩০০ জনেরও বেশী মানুষ এই আবেদনের সমর্থন জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন সেনা আধিকারিক মেজর জেনারেল জিডি বক্সির মত বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। যে গতিতে বিষয়টি ভাইরাল হচ্ছে, তাতে সমর্থনকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।