বিনোদন
চেন্নাই এর হোটেল রুমে দক্ষিণী অভিনেত্রীর মৃত্যু , তদন্তে পুলিশ প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মৃত্যুই যে জীবনের কঠিন সত্য, একথা যতটা না বাস্তব তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্টদায়ক । দক্ষিণ ভারতের ছোটো পর্দায় প্রসিদ্ধ শিল্পী চিত্রা , যিনি কিনা তামিল সোপ অপেরা প্যান্ডিয়ান স্টোরিজ এর মুখ হয়ে ভারত খ্যাত।২৯ বছরের এই যুবতী ৯ ডিসেম্বর চেন্নাই নাজরাথপেতের একটি হোটেল রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোপন সূত্রের অনুমান অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা মূলক কাজ।
পুলিশ প্রশাসনের কথায় জানা গেছে যে, বুধবার অভিনেত্রী চিত্রা তার শুট সেরে ভোর ১ টা নাগাদ নিজের হোটেল রুমের দিকে রওনা দেন। টিএনএম এর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের একটি সাক্ষাৎকারে এ ও জানা গেছে যে, ভোর ৩টে ৩০ মিনিটে হোটেলের ম্যানেজার ১০০ নম্বর ডায়েল করে সমস্ত ঘটনা তাদের জানায়। আপাতত তারা তদন্তে ব্যস্ত।
চিত্রার পরিবারের সদস্যগণ সবাই চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। পুলিশের কাছ থেকে তারা সমস্ত তথ্য পান। আগস্ট মাসে এক নামী ব্যাবসায়ীর সঙ্গে তার বাগদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এছাড়া আসন্ন একটি তামিল ছবিতে তিনি সইও করেছেন। এত কিছুর পরও এরকম একটি পরিণতি মানাটা সত্যি কষ্টকর।
মৃত্যুর কিছুক্ষন আগেও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বেগুনি এবং সবুজে মেলানো একটি নজরকাড়া শাড়ির ছবি পোস্ট করেন চিত্রা। তার এই মৃত্যুর খবর এখনও অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।
ভারতের ছোটো পর্দায় চিত্রার জনপ্রিয়তা কম কিছু ছিল না। বিভিন্ন তামিল টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে জয়া টিভি, মাক্কাল টিভিতে শো হোস্টের ভূমিকা খুবই পারদর্শিতার সঙ্গে পালন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের খ্যাতি তো রয়েছেই। এত কম বয়সে শিখরে পৌঁছানোর আগেই ভয়ানক এই পরিণতি।
২০১৮ সালে তার অভিনয় করা প্যান্ডিয়ান স্টোরিজ নামক সিরিয়ালটির বিজয় টিভির পর্দায় প্রথম প্রচার ঘটে। দেখতে দেখতে সিরিয়ালটি ৫০০ টি এপিসোড পার করে ফেলে। এত নাম, এত সম্মান এক নিমেষেই মৃত্যুর সঙ্গে চিরতরে বিলীন হতে সঙ্কুচিত বোধ করে না। আত্মহত্যা নাকি ষড়যন্ত্র তদন্তের খোঁজে এখন পুলিশ।
বিনোদন
ডিজিটাল মাধ্যমে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পালন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : এই সংকটকালীন মুহূর্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কেই এবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পালনের চাবিকাঠি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেল ৪ টে নাগাদ ভার্চুয়ালের মধ্য দিয়ে ২৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব টি আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত ধরে প্রকাশ পায়। অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে শাহরুখ খান ও সম্মিলিত ছিলেন।
উৎসবটি প্রতিবারের মতো এবারও নিজের পরিসর এবং খ্যাতি বিরাজ করে অনলাইনে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। বছরের শেষ দিক করে প্রতিবছর উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, কিন্তু অতিমারির কারণে এবার জানুয়ারি মাসে টানলেও নিজের কোনো রকম ত্রুটি রাখে নি। ৮১ টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফিচার ছবি, ৫০ টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি এবং তথ্যচিত্র এবার উৎসবে দেখানো হবে।
উৎসবটির সূচনা পর্বে থাকবে বিশেষ চমক। ‘অপুর পাঁচালি’র হাত ধরে ঘটবে এর শুভ সূচনা। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার মোট ৯ টি ছবি দেখানো হবে। ৮ টি প্রেক্ষাগৃহ মিলিয়ে জোর কদমে মেতে উঠবে এই চলচ্চিত্র উৎসব।
আন্তর্জাতিক বিভাগকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা উৎসবটিতে যেসব ছবি দেখানো হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ইজরায়েলের পরিচালক আমোস গিতাই পরিচালিত ‘লায়লা ইন হাইফা’। নারীকেন্দ্রিক ছবি নির্মাণ গিতাইয়ের ছবি নিয়ে অনেকেই কল্পনাপ্রবণ । কার্ল মাক্সের কনিষ্ঠা কন্যা ইলিয়ানরের জীবন-নির্ভর ছবি ‘মিস মার্ক্স’ও থাকবে। সাথে এক সাঁতারুর সংগ্রাম নিয়ে তৈরি কানাডিয়ান ছবি ‘নাদিয়া, বাটারফ্লাই’ ও থাকবে । ফিলিপিন্সের পরিচালক লাভ ডায়াজের ‘লাহি, হেয়প’ দেখতে আগ্রহী অনেকেই।
সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন। দেরি করে হলেও উৎসবে মেতে ওঠার কোনো খামতি চোখে পড়বে না বলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি। অনলাইনের মাধ্যমে টিকিটের সমস্ত ব্যবস্থা সুসম্পন্ন হয়েছে। টুইটারের মাধ্যমে দিদি জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের একসঙ্গে মিলে এই অতিমারি জয় করতে হবে কিন্তু তার মধ্যে উদযাপন ও থেমে থাকবে না। ২০২০ তে চলে যাওয়া বহু শিল্পীদের স্মৃতিচারণ করা হবে সাথে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে একমাত্র সম্বল বানিয়ে হাজারো সিনেমাপ্রেমী জনতা ডিজিটালে র সঙ্গে পা মেলাতে এবার প্রস্তুত।