দেশ
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বাতিল, হচ্ছেনা কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত সোমবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে একটি চিঠি লিখে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তাঁর দাবি ছিল, সব বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে কথা বলার পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিছু দিন আগেই সংক্ষিপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল বিক্ষোভ, সীমান্তে চিনা আগ্রাসন এবং অর্থনীতির মন্দা নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারিও কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদ খোলার দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন।
সরকার দাবি করে জানিয়েছে, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই নাকি অধিবেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধীরের চিঠির জবাবে সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, “দিল্লির মতো এলাকায় নতুন করে করোনা বাড়ছে। আর শীতের এই কটা মাস মহামারী মোকাবিলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রহ্লাদ যোশী বলছেন, “আমরা এখন ডিসেম্বরে। আর করোনার ভ্যাকসিন খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলাম। এবং সকলেই শীতকালীন অধিবেশন বাতিলের পক্ষে। সরকার দ্রুত সংসদের অধিবেশন বসানোর চেষ্টা করবে। আগামী জানুয়ারিতেই যাতে বাজেট অধিবেশন বসানো যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।