দেশ
প্রমাণের অভাব, বেকসুর খালাস তবলিঘি জামাতের ৩৬ জন বিদেশি সদস্য।
নিজস্ব প্রতিনিধি : দিল্লির আদালতে বেকসুর খালাস তবলিঘি জামাতের ৩৬ জন বিদেশি সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয় দিল্লির এক আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
চার্জশিটে একাধিক অভিযোগ ছিল ওই ৩৬ জনের বিরুদ্ধে। ভিসার নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ছিল আরও আট বিদেশি জামাত সদস্যের বিরুদ্ধেও। এদিন দিল্লির চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার কারোর বিরুদ্ধেই প্রমাণ না মেলায় প্রত্যেকে বেকসুর খালাস করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লিতে নিজামুদ্দিন মারকাজের মার্চ মাসে ধর্মীয় সভায় যোগ দেওয়া ৩৬ তবলিঘি জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত ২৪ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নং ধারা (সরকারি কর্মচারীর নির্দেশের বিরুদ্ধাচারন), ২৬৯ নং ধারা, মহামারী আইনের তিন নম্বর ধারা-সহ একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই আদালত এদিন তাদের রেহাই দিল।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।