দেশ
কাফিল খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ধারায় মামলা করা যাবে না, জানালো সুপ্রিম কোর্ট।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ইলাহাবাদ হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, কাফিল খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহি ধারায় মামলা করা যাবে না। এ বার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ধারায় মামলা করা যাবে না।
সিএএ বিরোধী একটি ভাষণ দেওয়ার জের, ডাক্তার কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্ট বা এনএসএ)-এর আওতায় মামলা করতে চেয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ এর সরকার।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এসএ বোবদে বলেছেন, ‘‘কোনও ফৌজদারি মামলার বিচার হয় সেই মামলার নিজস্ব গুরুত্ব অনুযায়ী। অন্য একটি মামলা করে কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক আটক আইন প্রয়োগ করা যায় না। এই মামলায় হাইকোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে। সেই রায় বহাল থাকুক। এর মধ্যে নাক গলানোর কোনও কারণ দেখি না।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশ পুলিশ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পরেই কাফিলকে গ্রেফতার করে। বলা হয়েছিল, বক্তৃতাটি শান্তি বিঘ্নিত করছে। তারপর জামিন পেলেও ফের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-তে কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল সরকার। এই আইনে কাউকে গ্রেফতার করে হেফাজতে রাখা যায় এক বছরের কাছাকাছি। গত অগস্টে তিন মাসের জন্য কাফিলের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকার।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।