দেশ
মন্ত্রীকে ‘কালা জাদু’ করে প্রাণে মারার ছক করায় মহারাষ্ট্রের ২ তান্ত্রিক গ্রেফতার!
নিজস্ব প্রতিনিধি : মহারাষ্ট্রের দুই তান্ত্রিক এক মন্ত্রীকে প্রাণের মারার জন্য ‘কালা জাদু’ করছিল। এমনই অদ্ভুত অভিযোগে মহারাষ্ট্রের ওই দুই তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকে দু’জনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে বলে খবর।
ওই দুই তান্ত্রিক মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রিসভার নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে ‘কালা জাদু’ করে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সপ্তাহখানেক আগেই এই খবর পৌঁছেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পালঘরে তল্লাশি অভিযান চালায়। পুলিশের তরফে খবর, ঘটনাস্থলে যখন তারা গিয়ে পৌঁছায়, সেই সময়ও নাকি একনাথ শিণ্ডের ছবি সামনে রেখে ‘কালা জাদু’ করছিল ওই দুই তান্ত্রিক। গুপ্ত মন্ত্রোচারণ করছিল ওই দুই তান্ত্রিক। সামনে লেবু ও লঙ্কাও নাকি রাখা ছিল। ঘর থেকে একটি মোরগও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, সেটি বলি দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়াও গুপ্তবিদ্যার অনেক সামগ্রী মজুত ছিল ওই ঘরে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম কৃষ্ণ বালু কুরকুটে এবং সন্তোষ মাগরি বারদি।দু’জনকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনও পর্যন্ত সেই সম্পর্কে দু’জনের কেউ কিছু জানায়নি বলেই খবর। পূর্বপুরুষের হাত ধরেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে একনাথ শিণ্ডের পরিচয়। লোকসভার সাংসদ ছিলেন তাঁর বাবা ডা. শ্রীকান্ত শিণ্ডে।
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও মানুষ কিভাবে এই সমস্ত অন্ধ বিশ্বাসের উপর বিশ্বাস করতে পারছে সেটি আশ্চর্যের ব্যাপার। এই দুই তান্ত্রিকের বিচার করবে আমাদের দেশের আইন। তবে এই ঘটনা এবং ‘কালা জাদু’ এর অভিযোগে দুজনের গ্রেফতারি, মহারাষ্ট্র পুলিশ ও প্রশাসনের অন্ধ বিশ্বাসের প্রতি আঙ্গুল কি তুলবে না? এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই হাসাহাসি করছে নেটিজেনদের একাংশ।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।