Connect with us

শিক্ষা

আঁধার শেষে, ভোরের আলো।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

 স্নেহা সাহা – “করব-লড়ব-জিতব রে”- এই কথাটি সত্য প্রমাণ করে দেখিয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। গত কয়েক মাস ধরে প্রচুর ঝড় ঝাপটা ও অশান্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়এবং এখানের ছাত্র-ছাত্রীদের। এসবের মাঝেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফলে নব্বই শতাংশ স্কোর করে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এর জন্য ভারতবর্ষের অনেক রাজ্যে বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সিএএ এর বিরোধিতা করে রাস্তায় নামে এবং তারাএটিকে“বৈষম্যমূলক” এবং“বিভাজক” আইন বলে অভিহিত করেছিল। ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ জবরদস্তি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং বিক্ষোভকারীসহ শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করেলাঠিচার্জ করে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একজন চোখ হারিয়ে ফেলেছিল। পুলিশকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ৰন্থাগারে প্রবেশ করে এবং সেখানে সমস্তকিছু তোলপাড় করে দিয়েছিল। পুলিশরা কীভাবে তাদের উপর অত্যাচার করেছিল তারা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সকলের সামনে প্রকাশ করা হয়েছিল। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে গোটা ভারতর্ষের পড়ুয়ারা ক্ষোভে জ্বলে ওঠে এবং পথে নেমে বিরোধিতা করতে শুরু করেছিল।

সমস্ত ঝড়-ঝাপটা কাটিয়ে উঠে অবশেষে ভোরের আলো-র সম্মুখীন হয়েছে এই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা জানানো হয়েছিল যে,‘কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফরম্যান্সের স্কোরিং’-এ জামিয়ার স্কোর ছিল ৯০%, অরুণাচল প্রদেশের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩% এবং জেএনইউয়ের ৮২%। শিক্ষার উপর যে সকলের সমান অধিকার আছে যা প্রমাণ করে দেখিয়েছিল জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কথায় আছে,‘শিক্ষার কোনো বয়স নেই, শেখার কোনো শেষ নেই’। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে, ‘শিক্ষার কোনো জাতি-ধর্ম-বর্ণ নেই, সকলেই শিক্ষা গ্ৰহণ করতে পারে, আর শেখার কোনো শেষ নেই’।

শিক্ষাক্ষেত্র একটি পবিত্র স্থান, যেখানে কেউ আসে শিক্ষালাভের জন্য, কেউবা শিক্ষাদানের জন্য। কিন্তু বর্তমানে প্রায়শই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই পবিত্র স্থানকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করেবিবাদের সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইউনিয়নের নামে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। জাতি-বর্ণ-ধর্ম এর নামে প্রাচীনকাল থেকেই সাধারণ মানুষদের অসুবিধা ও হিংস্রতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। রাজনীতির এক বিরাট অংশ দখল করে আছে ছাত্র সংসদ ও যুব সমাজ। যুব সমাজ মানে যারা পুরাতন চিন্তাধারার অবসান ঘটিয়ে নতুন চিন্তাধারার পথে চালিত করবে, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে এই যুব সমাজই জাতি ও ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করে চলেছে। আর যদি তারা প্রতিবাদ জানায় তাহলে তাদের চরম হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সিএএ এর বিরোধিতা করার জন্য জেএমআই এর শিক্ষার্থীদের যেভাবে হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তার নিন্দনীয়। কেউ কেউ বলছেন, জেএমআই হল‘সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি’, এখানে পড়াশোনার নামে সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠার ট্রেনিং দেওয়া হয়। কিন্তু ফলাফলের দিক থেকে প্রথম হয়ে জেএমআই-এর শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে এখানে শুধু শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্ৰহণই করে না, তারা শিক্ষাকে কাজে লাগায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। বুদ্ধিজীবী হওয়াটা যে কোনো ধর্মের উপর নির্ভর করে না তা তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল। জামিয়ার শিক্ষার্থীরা বলেছে,‘যারা তাদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি বলেছে, তারা এই ফলাফলের মধ্যে দিয়ে তাদের উত্তর পেয়ে গেছে। এর থেকে ভালোভাবে উত্তর দেওয়ার পথ কিছুই হতে পারে না’। জাতি ও ধর্মের নামে সমস্তকিছু কেড়ে নেওয়া গেলেও শিক্ষা যে কখনোই কেড়ে নেওয়া যায় না, শিক্ষা ও জ্ঞান নিজেরই থাকে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে এই জেএমআই, জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কতদিন এইভাবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ এর নামে সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের হেনস্থার শিকার হতে হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

শিক্ষা

ICSE দশম ও ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন ঘোষণা করলো বোর্ড।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় একবছর বন্ধ বিদ্যালয়, তবে একে বারে বন্ধ হয়ে যায়নি পঠন পাঠন। ভার্চুয়াল ভাবেই চলছিল শিক্ষার আদান-প্রদান। এবার পরীক্ষা নেওয়ার পালা। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন থাকায় কবে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় সেই জট কেটেছে। কাজেই আর দেরি না করে প্রকাশ করা হল বোর্ডের পরীক্ষার সূচি।

গত সোমবার সন্ধ্যায় আইসিএসই বোর্ড কর্তৃপক্ষ আগামী পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে না বরং লিখিত মাধ্যমেই হবে এই পরীক্ষা গুলি। মে মাসের ৫ তারিখেই শুরু হচ্ছে দশম শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা, চলবে জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত। অন্য দিকে আইএসসি, অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৮ এপ্রিল, পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ১৬ জুন।

দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন হবে ৮ এপ্রিল, হোম সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন এবং ইন্ডিয়ান মিউজ়িক কর্নাটকি পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল হবে ৯ এপ্রিল। বাকি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা গুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যালয় গুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে নিজেদের সুবিধামতো সেই সমস্ত পরীক্ষা নিতে পারবে স্কুলগুলি। পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি জানা যাবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.cisce.org)।

আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানিয়েছিলেন, এ বার পরীক্ষা হবে কোভিড-বিধি মেনে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মাস্ক ও নিজস্ব স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে আনতে হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা দস্তানা পড়বেন কি না সেই বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট বিধি জানায়নি বোর্ড। এ বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাধীনতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে রাখতে হবে জলের বোতলও। এই সমস্ত নিয়ম ছাড়াও আরও বেশকিছু বিধি ঘোষণা করেছে বোর্ড। এবার বন্ধু বান্ধবী মিলে আর টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না। পরীক্ষার সরঞ্জাম তথা পেন, স্কেল প্রভৃতি নেওয়া যাবে না অন্যের কাছ থেকে। মূলত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে যেতেই ব্যবস্থা।

দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। প্রশ্ন পত্র দেওয়া হবে ১০টা ৪৫ মিনিটে। উত্তর লেখা শুরু করতে হবে ১১টা থেকে। অন্য দিকে, দ্বাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ১টা ৪৫ মিনিটে দিয়ে দেওয়া হবে প্রশ্নপত্র। লেখা শুরু করা যাবে দুপুর ২টোয়।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট