রাজ্য
“বাংলার উন্নয়নের জন্য দায়ী অবাঙালি মানুষেরা” মন্তব্য দিলীপ ঘোষের!
নিজস্ব প্রতিনিধি : সামনেই একুশের বিধানসভা ভোট। ভোটের মাঠ দখলে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সমস্ত দলই। বাংলার ময়দানে কোন রঙ উড়বে এবার তা নিয়ে নানা দলের নানা পরিকল্পনা। আর তার মাঝেই আজ সকালে বাংলায় দাড়িয়েই বঙ্গবাসীদের নিয়ে বিদ্রুপ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বাংলার উন্নয়নের জন্য দায়ী অবাঙালি মানুষেরা,আজ এমন দাবি করলেন তিনি। এদিন সকালে একটি জনসভায় গিয়ে ফের বেঁফাস মন্তব্যের শিকার দিলিপ ঘোষ। এর আগে বহুবার বঙ্গবাসীদের নিয়ে নানা কথা বললেও এইবারে বাঙালিদের এক চরম অপমানের সামনে ফেললেন তিনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের থেকে এই রকম বিতর্কিত মন্তব্য খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়। মাঝে মাঝে নিজের বক্তব্যের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। তার মতে, আজ বাংলায় যে উন্নতি হয়েছে, সেই উন্নয়েনর পিছনে রয়েছে অবাঙালি মানুষজনরা। এমনকি এই উন্নয়নের সূচনা নাকি হয়ে আসছে ইংরেজদের আমলে।
বাইরে থেকে যে সব লোকেরা এখানে আসে, তারাই বাংলাকে উন্নতির আসনে বসায়। এর আগে বহুবার বহিরাগত নিয়ে আলোচনা হয়েছে গেরুয়া সবুজের মাঝে। কিন্তু এইবার বাংলার মুখ্যপাত্র হওয়ার আগেই বঙ্গবাসীদের বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। তার বক্তব্য যেন একেবারেই অস্বীকার করে আজকের স্বাধীন ভারতে ক্ষুদিরাম, বিনয়-বাদল-দীনেশ, যতীন দাস, সুভাষের মত বিপ্লবীদের প্রতিবাদের কথা।
সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই তার এই নিন্দনীয় মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই রোষের ঝড় উঠেছে। বাংলাতে থেকে বাংলার হয়ে লড়ার আগেই এমন কথা কি করে বলতে পারেন একজন রাজ্য সভাপতি সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। উল্লেখযোগ্য বঙ্গীয় বিজেপি দলকে এইবার মসনদে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বও মিলেছে বাংলার বাইরে থেকে আসা প্রতিনিধি দল কে।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।