Connect with us

বিশেষ

তিন কোটি মহিলা ও কিশোরী আজও দাসত্বের শিকার, বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Pixabay

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্বে একসময় দাস ব্যবস্থা ছিল। দাসত্বের শিকার হয়ে অত্যাচারিত হতে হয়েছে তৎকালীন সময়ের মানুষদের। তবে সময়ের সাথে সাথে অবলুপ্ত হয়েছে এই দাস ব্যবস্থা। কিন্তু, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বুঝিয়ে দিল যে, এটা শুধু ধারণা মাত্র। রিপোর্ট অনুসারে এখনও রয়েছে দাসত্ব। বদলে গেছে শুধু ধরণ। ঋণের বোঝা কিংবা পারিবারিক দাসত্বের শিকার হয়েছে মানুষ।

প্রায় ৩ কোটি নারী ও কিশোরী আধুনিক দাসত্বের শিকার বলে জানিয়েছে দাসত্ব বিরোধী সংস্থা ওয়াক ফ্রি। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা গ্রেস ফরেস্ট বলেন, বিশ্বের ২ কোটি ৯০ লাখ নারী ও কিশোরী জোরপূর্বকশ্রম, বিয়ে, যৌতুক ও অভ্যন্তরীণ দাসত্বের শিকার। এর মধ্যে রয়েছে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া দাসত্ব ও পারিবারিক দাসত্ব।বহুদেশে অল্প বয়সী মেয়েরা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার। এই জনসংখ্যাটি অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। বিশ্বে প্রতি ১৩০ মহিলা/কিশোরীর মধ্যে একজনকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।

ওয়াক ফ্রি অ্যান্টি স্লেভারি অর্গানাইজেশন এর প্রতিষ্ঠাতা গ্ৰেস ফরেস্ট বলেছেন, ‘বর্তমানে বিশ্বে যে সংখ্যাক নারী ও কিশোরী দাসত্ব নিয়ে বাস করছেন তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে কোনো সময়েরতুলনায় অত্যাধিক,। তিনি আরো বলেন, ‘আধুনিক দাসত্ব হলো পদ্ধতিগতভাবে কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা, যেখানে এক ব্যক্তি কর্তৃক অন্য ব্যক্তি ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক লাভের স্বার্থজনিত শিকার হন’।ওয়াক ফ্রি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও অভিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯৯ শতাংশ নারী যৌন নিগ্রহ, ৮৪ শতাংশ জোরপূর্বক বিয়ে এবং ৫৮ শতাংশ জোরপূর্বক শ্রমের শিকার। করোনা কালে এই পরিস্থিতি আরও ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।বিশ্বের এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে দুনিয়া জোড়া একটি প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছে, ওয়াক ফ্রি, রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘every woman every child program’।ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্ৰেশন এবং ওয়াক ফ্রি সংস্থার করা যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। যা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

বিশেষ

টিআরপি স্ক্যাম : অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল!

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিএএ, এনআরসি হোক বা সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা, উদ্ধব সরকারের সঙ্গে সংঘাত হোক বা টিআরপি কেলেঙ্কারী, গত বছরেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী।

বলিউড সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। গত বছর অক্টোবর মাসে টিআরপি তালিকায় দেশে শীর্ষে থাকা এই নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ভুয়ো টিআরপি রেটিং ব়্যাকেটে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন মুম্বই পুলিশ কমিশানার পরমবীর সিং।

[ আরো পড়ুন : গুগলে ‘chutiya news anchor’ লিখলেই সার্চ রেজাল্টে অর্ণব এর নাম!]

তখন মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, চ্যানেলের রেটিং বাড়ানোর জন্য অনৈতিকভাবে BARC-এর প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন অর্ণব গোস্বামী। তাও আবার একবার নয়, একাধিকবার বার্ক-প্রধান ‘ঘুষ’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

গত ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট মামলায় এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে ‘রিমান্ড নোট’ জমা দেয় মুম্বই পুলিশ। যে অভিযোগনামায় দাবি করা হয়েছে যে, নিজস্ব পদমর্যাদার অপব্যবহার করে পার্থ দাশগুপ্ত একাধিক চ্যানেলে টিআরপি এরপর করেছেন।

[ আরো পড়ুন : গুগলে “gujarati actor” লিখলেই সার্চ রেজাল্টে ভেসে আসছে নরেন্দ্র মোদীর ছবি! ]

এবার অর্ণব গোস্বামী এবং বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ অর্ণব গোস্বামীর কিছু বক্তব্যের স্কিনশর্ট টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। সেই চ্যাটে টিআরপি কেলেঙ্কারি সাথে সম্পর্কিত অর্নবকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্য চাইতে দেখা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত মুম্বাই পুলিশি জেরায় অর্ণবের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার কথাও কবুল করেছেন। আর সেই টাকা নিয়েই রিপাবলিক টিভির দর্শক সংখ্যা বাড়াতে তিনি কারচুপি করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পুলিশকে।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট