দেশ
কৃষকদের দাবি না মিটলে ধর্মঘটের ডাক! ট্যাক্সি ইউনিয়নের হুঁশিয়ারি কেন্দ্র সরকারকে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে এ বার অল ইন্ডিয়া ট্যাক্সি ইউনিয়ন। কৃষকদের দাবি যাতে পূরণ হয়, তার জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ট্যাক্সি সংগঠনও। দু-দিনের মধ্যে নয়া কৃষি আইন বাতিল না হলে, ধর্মঘট শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি।
সারা ভারত ট্যাক্সি সংগঠনের সভাপতি বলবন্ত সিং ভুল্লর সোমবার বলেছেন, আন্দোলনরত কৃষকদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য তাঁরা কেন্দ্রকে দু-দিন সময় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, নয়া কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করে নিন। কর্পোরেট সেক্টরগুলি আমাদের ক্ষতি করছে।”
এর পরেই সুর চড়িয়ে বলবন্ত বলেন, ‘যদি কেন্দ্র এই কৃষি আইনগুলি দু-দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করে, তা হলে রাস্তা থেকে আমরা ট্যাক্সি তুলে নেব।’ ট্যাক্সি চালকদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধের সুরে বলেন, ‘চালক বন্ধুদের অনুগ্রহ করে বলছি, আপনারা ৩ ডিসেম্বর থেকে ট্যাক্সি বন্ধ রাখুন।’
পঞ্জাবের একাধিক কৃষক সংগঠনের ডাকা ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ভেস্তে দিতে দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি হরিয়ানা পুলিশও তত্পর হয়েছিল। ১৪৪ ধারা জারি করে, ব্যারিকেড দিয়ে, কাঁটাতার বিছিয়ে, জলকামান দিয়ে, লাঠিচার্জ করে নান ভাবে কৃষকদের গতিপথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে।
কিন্তু সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে কৃষকরা শেষ পর্যন্ত দিল্লি সীমানায় এসে উপস্থিত হন তারা। তাদের নাছোড় মনোভাবের কাছে পরাস্ত হয়ে পুলিশ, কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে দিতে বাধ্য হয়। বুরারির ময়দান বিক্ষোভকারীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। কিন্তু, কৃষকরা সেখানে যেতে অস্বীকার করেন। বিশেষত, অমিত শাহ আলোচনায় বসতে শর্ত আরোপ করায়। কৃষক সংগঠনের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের উপর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
কৃষকরা ঠান্ডার মধ্যে যে ভাবে আন্দোলন করছেন, তাতে আরও ২দিন অপেক্ষা না করে, বৈঠকের দিন এগিয়ে আনেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। মঙ্গলবার বেলা ৩ টেয় বিজ্ঞানী ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পর্যবেক্ষরা। কারণ, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কৃষি আইন নিয়ে মনোভাব পরিবর্তন করেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, নতুন আইনে কৃষকরা লাভবান হবেন।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।