প্রযুক্তি
নতুন মডেল ‘ইন’-এর মাধ্যমে মাইক্রোম্যাক্সের প্রত্যাবর্তন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মাইক্রোম্যাক্স একমাত্র ভারতীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড যা স্যামসাংয়ের মতো বড় ব্র্যান্ডকে একসময় চ্যালেঞ্জ করেছিল। ভারতীয় সংস্থাটি একসময় দেশে এক নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ছিল এবংএন্ট্রি এবং বাজেট কেন্দ্রিক স্মার্টফোনগুলির সাথে একটি ভাল প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছিল। তবে, চীনা ব্র্যান্ডগুলি স্মার্টফোন বাজারে প্রবেশ করার ফলে মাইক্রোম্যাক্সের চাহিদা প্রচণ্ড হ্রাস পেয়েছিল।
সর্বশেষ মাইক্রোম্যাক্স স্মার্টফোনটি ২০১৮ সালে চালু হয়েছিল এবং তখন থেকেই সংস্থাটি নীরব ছিল। এখন, প্রায় দুই বছর পরে, সংস্থাটি আবার ফিরে এসেছে। মাইক্রোম্যাক্স ভারতীয় স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক্স বাজারে ‘ইন’ নামে একটি নতুন সাব ব্র্যান্ডের মাধ্যমে পুনরায় ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
সংস্থাটি নতুন ‘ইন’ ব্র্যান্ডের অধীনে স্মার্টফোন, আনুষাঙ্গিক এবং অন্যান্য গ্যাজেটগুলি চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্মার্টফোন বিভাগে কৌশলগত পুনরায় প্রবেশের জন্য মাইক্রোম্যাক্স ৫০০কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।মাইক্রোম্যাক্সের ভিওয়াদি ও হায়দ্রাবাদ সহ বিভিন্ন স্থানে অত্যাধুনিক শিল্প উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। ব্র্যান্ডটির প্রতিমাসে ২ মিলিয়ন ফোন উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, বর্তমানেমাইক্রোম্যাক্সের ১০,০০০ টিরও বেশি আউটলেট এবং ভারত জুড়ে ১,০০০ টিরও বেশি ক্ষুদ্র পরিষেবা কেন্দ্রের উপস্থিতি রয়েছে।
“আমরা আমাদের সাব ব্র্যান্ড ‘ইন’ দিয়ে ভারতের বাজারে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করতে পেরে আনন্দিত। ইন্ডিয়া বা ‘ইন’ শব্দটি আপনাকে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভূতি ও আশা প্রদান করবে। তবে, এই ‘ইন’ গর্বের বিষয়ও হয়ে উঠবে”, সূত্র (ইন্ডিয়া টুডে) মারফত জানা গেছে, এমনটাই বলেছেন মাইক্রোম্যাক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাহুল শর্মা। তিনি আরো বলেছিলেন যে, আমাদের প্রচেষ্টা হল ‘ইন’ মোবাইল দিয়ে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন মানচিত্রে ভারতের স্থান নিশ্চিত করা।
শর্মা জানিয়েছেন যে, ‘স্মার্টফোনে কোনও ব্লাটওয়্যার থাকবে না এবং ডিভাইসগুলিতে কোনও বিজ্ঞাপনও থাকবে না’।তিনি বলেছিলেন যে আসন্ন ব্র্যান্ডটি বিশেষত গেমারদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। সংস্থাটি নভেম্বরের প্রথম দিকে স্মার্টফোনের প্রথম তরঙ্গ চালু করবে। ফোনগুলির মূল্য থাকবে ৭,০০০ থেকে ১৫,০০০টাকার কাছাকাছি কিংবা একটু বেশি। ‘ইন’ ব্র্যান্ড এর মাধ্যমে মাইক্রোম্যাক্স মানুষের চাহিদা পূরণ করে, পুনরায় শীর্ষ স্থান দখল করতে পারবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি
‘100% নিশ্চিত থাকতে পারেন’, ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রশ্নে জানালো হোয়াটসঅ্যাপ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান প্রজন্ম থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ আনকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তথ্য আদান-প্রদানের ভাল মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্ক চলছে। সেই বিতর্ক হল, আপনার মোবাইল নম্বর, ফোনের তথ্য, আইপি অ্যাড্রেস, গ্রাহকের বার্তা বিনিময়ের প্রকৃতি, লেনদেনের তথ্য, লোকেশন হিস্ট্রি এবং আরও একাধিক তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তুলে দিতে পারে Facebook-কে।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসি তে সম্মতি আপনি এখনই বা পরে জানাতে পারেন। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্মতি না দিলে এই অ্যাপের পরিষেবা আর পাবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার প্রাইভেসি পলিসি বদল সংক্রান্ত নতুন নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। এবার সেই বিতর্কের মাঝেই হোয়াটসঅ্যাপ মুখ খুলল।
এদিন হোয়াটসঅ্যাপের তরফে একটি ট্যুইট করে বলা হচ্ছে, ‘বাজারে গুজব রটছে, আর তার উত্তরে আমরা জানাতে চাই যে, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনে আপনার গোপন মেসেজ যে WhatsApp সুরক্ষিত রাখবে সে বিষয়ে 100% নিশ্চিত থাকতে পারেন।’ তাদের দাবি হোয়াটসঅ্যাপে প্রাইভেট মেসেজ থেকে শুরু করে গ্রুপ চ্যাট, কন্ট্যাক্টস, কলস, এবং ডেটা সবই সুরক্ষিত থাকবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ যেখানে বলছে গ্রাহকের সব তথ্য নিরাপদেই রয়েছে, তা সত্ত্বেও তো Google সার্চে তথ্য ফাঁস হচ্ছে গ্রাহকদের। WhatsApp-এর জবাব, আপনারা চাইলে মেসেজ তো অদৃশ্যও করে দিতে পারেন ডিসঅ্যাপিয়ার মেসেজ (disappear messages) ফিচারের সাহায্যে, তাই ইউজারের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠা উচিত নয়।
জীবন ভট্টাচাৰ্য
November 6, 2020 at 10:04 pm
হ্যাঁ তাদের বিজ্ঞাপণ টি দেখলাম, তবে দেশ প্রেমকে অস্ত্র করে এই ভাবে ব্যাবসা করতে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। অবশ্য যে দেশের সব কিছু দেশ প্রেম ভাঙিয়ে করা হয় সে দেশে এটা বড়োই স্বাভাবিক।