দেশ
জখম শ্রমিকদের কাঁধে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে মানবিকতার নজির পুলিশের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মধ্যপ্রদেশের পুলিশ কর্মীরা এক অসামান্য মানবিকতার নজির গড়লেন। দুর্ঘটনায় জখম শ্রমিকদের রীতিমতো নিজেদের কাঁধে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন জব্বলপুরের এএসআই কনস্টেবলরা।
আমজনতার মন কেড়েছে মঙ্গলবারের এই ঘটনা। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ার ‘নায়ক’ হয়ে গিয়েছেন এএসআই সন্তোষ সেন।এই পুলিশ কর্মীর কাঁধে বুলেটের জখম থাকা সত্ত্বেও মানবসেবা থেকে পিছপা হননি তিনি।
বরং, এক জখম মহিলাকে পিঠে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন ৫৭ বছরের এই পুলিশ কর্মী।মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে একটি মিনি ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই ট্রাকে থাকা ৩৫ জন শ্রমিক কমবেশি জখম হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ কর্মীরা তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। হাসপাতালে কোনও স্ট্রেচার নেই। অগত্যা কম জখম শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন। কিন্তু অনেকই গুরুতর জখম হয়েছিলেন। তাঁদের হাঁটার ক্ষমতাও ছিল না। তৎক্ষণাৎ সহায়তায় এগিয়ে আসেন পুলিশ কর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জব্বলপুরের এএসআই সন্তোষ সেন এক যন্ত্রণাক্লিষ্ট মহিলাকে পিঠে চাপিয়ে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি একা নন, এএসআই এলআর প্যাটেল, কনস্টেবল অশোক, রাজেশ এবং অঙ্কিত স্থানীয়দের সাহায্যে ওই শ্রমিকদের কাঁধে-পিঠে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
উল্লেখ্য, ১৪ বছর আগে কর্মরত অবস্থায় সন্তোষ সেনের কাঁধে বুলেট লাগে। সেই জখম আজও ঠিকভাবে সারেনি। এদিন সে কথা ভুলেই কার্যত শ্রমিকদের সাহায্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। নেটিজেনাও সেলাম জানিয়েছেন ওই মানবিক পুলিশকর্মীদের।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।