ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
ভারত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ চলাকালীন প্রতিবাদী পোস্টার নিয়ে মাঠে ঢুকল দর্শক।
নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরবর্তী ক্রিকেট ম্যাচ এ দর্শকদের আল্যাও করা হলো ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এ। তবে পুরো গ্রাউন্ড এর ৫০ শতাংশ সিটের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে সংক্রমণ এড়াতে। সেই সঙ্গে ফিরল বিপত্তিও। সেই মতো গ্যালারিতে দর্শকের ভিড় চোখে পড়ে। তবে এরই মাঝে নিরাপত্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়েন দু’জন দর্শক, যাঁদের হাতে ছিল প্রতিবাদী পোস্টার। এরকম ঘটনার ফলে ম্যাচ বন্ধ থাকে কিছুক্ষণের জন্য। নিরাপত্তরক্ষীরা দুই প্রতিবাদীকে মাঠ থেকে বার করে দিলে পুনরায় শুরু হয় ম্যাচ।
মাঠে নেমে প্রতিবাদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম নয়। ফুটবল এ এরকম প্রায় এই দেখা যায় কিন্তু ক্রিকেট এ এরকম ঘটনা নজর কেরেছে দর্শকদের। এর আগেও বহুবার এমনটা দেখা গিয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি তে এরকম ঘটনা ঘটা খুব এই হতাশাজনক। কারণ ক্রিকেট প্লেয়ার ছাড়াও ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যকেই বায়ো-বাবলে রয়েছেন। এমন অবস্থায় নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে সাধারণ দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়া কার্যত ক্রিকেটারদের বায়ো-বাবলে বহিরাগতের হানা দেওয়ার সামিল।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এমন ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ঘটনার পর থেকেই। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এবং যার জন্য অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট নিরাপদে আয়োজন করা যাবে কিনা, সেবিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে, সেখানে সিডনির এই ছবি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রচেষ্টায় বড়সড় ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত জয় রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
বিক্রম দাঁ : অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ভারতীয় দল। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ছিলেন না প্রথম দলের চার তারকা। আর মেলবোর্নে ভারতের রেকর্ডও খুব একটা সুখকর ছিল না। কিন্তু এ হেন প্রতিকূলতার মধ্যেই অজিঙ্কে রাহানের ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
বক্সিং ডে টেস্টে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে যেন রূপকথার কাহিনি লিখে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাই এই টেস্ট জয়ের স্বর্ণ পদক তার এই প্রাপ্য। অনবদ্য ঠান্ডা মাথার অধিনায়কত্ব হোক, কিংবা ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন আজিংকে রাহানে । তাই এদিন টুইট করে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও রানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ম্যাচের আগে বিরাট বা সামির অনুপস্থিতি হোক বা খেলা চলাকালীন উমেশ যাদব এর ছোট হাওয়ার পরেও বোলিং ম্যানেজমেন্ট হোক সব দিকেই দারুন প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে জিংকস। তবে এই ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক দলের ডেবিউ টান্টস সিরাজ আর শুভমণ এর অসাধারণ পারফরমেন্স এর কথা বলেছেন। আর বলবেননাই বা কেনো? ইশান্ত শর্মা ছিলেন না টেস্ট এ সেই জন্য তৃতীয় সিম বোলার হিসেবে যাদব সুযোগ পায়। তাতেই ভারতীয় দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে দুর্বল বলেছিলেন অনেক ক্রিকেটর।
সমি দল থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে সিরাজ এর নতুন ও পুরনো বলে উইকেট নেওয়া র দক্ষতাই দারুন কাজে এসেছে ভারতের। এর পর গিল , আসন্ন দশ বছরে ব্যাটিং এ যে গিল এর রাজত্ব চলতে পারে এমনটা অনেক ক্রিকেটার বলছেন। যেমন টেকনিক তেমন শর্ট সিলেকশন । ভারতীয় ব্যাটিং এর ভবিষ্যত যে বেশ উজ্জ্বল তা বেশ পরিস্কার।
কোহলির নেতৃত্বেই প্রথম ম্যাচে লজ্জার সেই রেকর্ডটি করতে হয়েছে ভারতকে। তারপর আবার পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফিরে এসেছেন বিরাট। মেলবোর্ন টেস্টের আগে দল ছিল ছত্রভঙ্গ। ৪-০ তে হারের আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল দলকে। সেই আশঙ্কাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেলবোর্নে জয়ের শিরোপা উঠেছে ভারতের মাথায়। ক্যাপ্টেন কোহলি তাই বলছেন,”কী অসাধারণ জয়! গোটা দলের পারফরম্যান্স অনবদ্য। ছেলেদের জন্য অত্যন্ত খুশি। বিশেষ করে রাহানের জন্য। এর চেয়ে খুশির খবর হতে পারে না। এরপর আমাদের শুধু উপরের দিকে ওঠার পালা।