রাজ্য
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ফিরতেই নিজের কেন্দ্রে ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ বণ্টন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিনিধি : গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন নাড্ডা। সরব হয়েছেন রাজ্যের ‘জরুরি অবস্থা’ নিয়ে।বৃহস্পতিবার ভবানীপুরেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বণ্টন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
গত বুধবার ভবানীপুরে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির লিফলেট বিলি করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তার আগেই অবশ্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন, ভবানীপুরের বাড়িবাড়ি গিয়ে প্রচার করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন নিজের কেন্দ্রে জেতার জন্য বেশি নজর দিতে হয়, সেই মন্ত্র কর্মীদের দিয়ে গিয়েছেন নাড্ডা। কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতেই হবে।’
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র হলেও গত লোকসভা ভোটে ভবানীপুরে তৃণমূলের ফল মোটেই আশাব্যঞ্জক ছিল না। এই কেন্দ্রে বিজেপির থেকে মাত্র ৩ হাজার ১৬৮ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
দলনেত্রীর নিজের কেন্দ্র হিসেবে তৃণমূলের এই ফল রীতিমতো আশঙ্কারই। আর সেই তিন হাজারের ব্যবধান মুছে দিতে নিজেদের সবর্ত্তম প্রচেষ্টায় গেরুয়া শিবির। তাই পালটা অন্য কাউকে দিয়ে নয়, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই পথে নামছেন এবার।
যদিও নাড্ডাকে দিয়ে মমতার গড়ে বিজেপির প্রচার করানোর বিষয়ে অবশ্য পালটা কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় আগেই বলেছিলেন, ‘এক সময় নীতীশ কুমার বলেছিলেন বিহারে বাহারিদের মেনে নেওয়া হবে না। এখন বাংলাতেও বাহারিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। জেপি নাড্ডা বাংলাও বলতে পারেন না। মমতার সঙ্গে ওই এলাকার সম্পর্ক অনেক গভীরে। বাহারিরা সেখানে গিয়ে কী করবেন! এটা বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে।’
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।