রাজ্য
‘যাদের চোর বলতাম তারাই দলের সম্পদ’ পোস্টারে ছয়লাপ গাইঘাটা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিধানসভা ভোটের ঘন্টা বেজে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দল একুশকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।
বাংলা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিনকয়েক আগেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী এই যোগদান বিধানসভা নির্বাচনের আগে অধিকাংশকেই বাড়তি অক্সিজেন দিলেও বিরূপ প্রভাবও ফেলেছে। তার প্রমাণ মিলল গাইঘাটায়। বিজেপি রাজ্যজুড়ে যোগদান কর্মসূচি করছে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় এই যোগদান কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। সমস্ত আয়োজন সারা, মঞ্চও প্রস্তুত।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে মঞ্চের চারপাশে নজরে পড়ে বেশ কিছু পোস্টার। যার কোনওটিতে লেখা, “আমরা কোন বিজেপি?”, কোথাও আবার, “যাদের কে আমরা চোর বলেছিলাম তাঁরা বিজেপির সম্পদ।”, “আম্ফানের টাকা মেরেছে যুবনেতা”, কোথাও “দুর্নীতিগ্রস্ত মণ্ডল সভাপতি দূর হাটো!”, এই সমস্ত পোস্টারের নিচে লেখা, আদি বিজেপি।
এই পোস্টারেই প্রকাশ হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূলের প্রাক্তন নেতাদের যোগদান যে বিজেপির একাংশ মোটেও ভালভাবে নেয়নি, তা কার্যত স্পষ্ট। আর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এতেই অস্বস্তিতে পড়েছে।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।