ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
শেষ ওডিআই জিতে সম্মান রক্ষা করলো টিম ইন্ডিয়া।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিডনিতে দুদিন টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে গিয়ে চাপ এ পরে ভারত, তার সাথে খারাপ বোলিং হাওয়ার জন্য দুটি ম্যাচ এ একটিও জিততে পারেনি বিরাট কোহলির দল। অন্যদিকে ফিঞ্চ প্রথম ব্যাটিং করে ব্যাকফুট এ করেছে টিম ইন্ডিয়াকে। তবে শেষ ম্যাচ এ সেটা হয় নি। বিরাট টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে দুই দলেই দারুন পরিবর্তন দেখা গেছিলো। কমিংস, স্টার্ক, ওয়্যার্নার ছিলোনা এই ম্যাচ এ। আর ভারত এ সামির পরিবর্তে আসে সর্দুল ঠাকুর, ময়নক আগরওয়াল এর পরিবর্তে ওপেনিং এর সুযোগ পায় সুভ্মান গিল ও সাইনির বদলে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ক্যাপ পায় টি নতরজন।
ব্যাটিং করতে নেমে শিখার ধাওয়ান ও সুভ্মন গিল কিছুটা ভালো শুরু করলেও, সেট হাওয়ার পড়ে একটি সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরত যায় ধাওয়ান। এর পর ক্যাপ্টেন কোহলি ও সুভমান গিল ছোটো একটি পার্টনারশিপ তৈরি করে। কোহলি কে দেখাযায় অনভিজ্ঞ সুভ্মণ এর সাথে বাক্যালাভ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এল বি ডাব্লিউ হয় গিল। আইয়ার ব্যাট করতে এলেও খারাপ শর্ট খেলে আউট হয়। রাহুল ও কোহলি আগের দিন কিছুটা হাল ধরলেও এই দিন তো সেটা হয়নি। একা কোহলি ৭৮ বল এ ৬৩ রান করে। এর পর হার্দিক ও জাদেজা দারুন খেলে। দুজনেই আজি বোলার দের দারুন প্রহার করলে ভারত পৌঁছায় ৩০২ রানে। হার্দিক করে ৭৬ বল এ ৯২ রান ও জাদেজা করে ৫০ বল এ ৬৬ রান। হার্দিক এর এরকম ব্যাটিং টিম ইন্ডিয়ার দারুন একটা স্বস্তির খবর।
এর পর ব্যাট করতে এলে অস্ট্রেলিয়া খুব একটা ভালো শুরু করতে পারেনি। লবাসানে কে প্রথমেই ফেরত পাঠায় টি নটরাজ ন। সার্দুল ঠাকুরের বল এ রাহুল এর হতে ক্যাচ দিয়ে স্মিথ ফেরত যায় মাত্র ৭ রান করে। কিন্তু ক্যাপ্টেন ফিঞ্চ ৭৫ রান করে দল কে লড়াই এ টিকিয়ে রাখে। এর পর ফিঞ্চ আউট হলে ম্যাচ প্রায় ভারত এর হতে চলে আসে কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ও ক্যারি দারুন পার্টনারশিপ করলে সেটা আবার ভারত এর বোলার দের চিন্তার কারণ হয়। কিন্তু বুমরার দারুন ইউর্কের কোনো জবাব ছিল না ম্যাক্সওয়েল এর কাছে। এর পর লাগাতার উইকেট পড়তে থাকে অস্ট্রেলিয়ার। ৪৯.৩ বল এ ২৮৯ রানে শেষ হয় অজিদের ব্যাটিং।
এর পর আগামী শুক্রবার থেকে টি২০ শুরু। ভারতীয় সময় দুপুর একটায়।
ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত জয় রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
বিক্রম দাঁ : অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ভারতীয় দল। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ছিলেন না প্রথম দলের চার তারকা। আর মেলবোর্নে ভারতের রেকর্ডও খুব একটা সুখকর ছিল না। কিন্তু এ হেন প্রতিকূলতার মধ্যেই অজিঙ্কে রাহানের ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
বক্সিং ডে টেস্টে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে যেন রূপকথার কাহিনি লিখে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাই এই টেস্ট জয়ের স্বর্ণ পদক তার এই প্রাপ্য। অনবদ্য ঠান্ডা মাথার অধিনায়কত্ব হোক, কিংবা ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন আজিংকে রাহানে । তাই এদিন টুইট করে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও রানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ম্যাচের আগে বিরাট বা সামির অনুপস্থিতি হোক বা খেলা চলাকালীন উমেশ যাদব এর ছোট হাওয়ার পরেও বোলিং ম্যানেজমেন্ট হোক সব দিকেই দারুন প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে জিংকস। তবে এই ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক দলের ডেবিউ টান্টস সিরাজ আর শুভমণ এর অসাধারণ পারফরমেন্স এর কথা বলেছেন। আর বলবেননাই বা কেনো? ইশান্ত শর্মা ছিলেন না টেস্ট এ সেই জন্য তৃতীয় সিম বোলার হিসেবে যাদব সুযোগ পায়। তাতেই ভারতীয় দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে দুর্বল বলেছিলেন অনেক ক্রিকেটর।
সমি দল থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে সিরাজ এর নতুন ও পুরনো বলে উইকেট নেওয়া র দক্ষতাই দারুন কাজে এসেছে ভারতের। এর পর গিল , আসন্ন দশ বছরে ব্যাটিং এ যে গিল এর রাজত্ব চলতে পারে এমনটা অনেক ক্রিকেটার বলছেন। যেমন টেকনিক তেমন শর্ট সিলেকশন । ভারতীয় ব্যাটিং এর ভবিষ্যত যে বেশ উজ্জ্বল তা বেশ পরিস্কার।
কোহলির নেতৃত্বেই প্রথম ম্যাচে লজ্জার সেই রেকর্ডটি করতে হয়েছে ভারতকে। তারপর আবার পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফিরে এসেছেন বিরাট। মেলবোর্ন টেস্টের আগে দল ছিল ছত্রভঙ্গ। ৪-০ তে হারের আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল দলকে। সেই আশঙ্কাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেলবোর্নে জয়ের শিরোপা উঠেছে ভারতের মাথায়। ক্যাপ্টেন কোহলি তাই বলছেন,”কী অসাধারণ জয়! গোটা দলের পারফরম্যান্স অনবদ্য। ছেলেদের জন্য অত্যন্ত খুশি। বিশেষ করে রাহানের জন্য। এর চেয়ে খুশির খবর হতে পারে না। এরপর আমাদের শুধু উপরের দিকে ওঠার পালা।