দেশ
“দুর্বল কৃষকরাই আত্মহত্যা করেন” বেফাঁস মন্তব্য কর্ণাটকের এই মন্ত্রীর!
নিজস্ব প্রতিনিধি : কর্ণাটকের কৃষিমন্ত্রী বিসি পাতিল কৃষকদের নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। কৃষিমন্ত্রী বিসি পাতিলের দাবি, যে কৃষকরা আত্মহত্যা করেন তাঁদের মন দুর্বল। সেজন্যই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন চরম পথ বেছে নেওয়ার। কিন্তু কৃষকদের এই আত্মহত্যার সঙ্গে সরকারের কোনও যোগ নেই।
এর আগেও তাকে এই ধরনের মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল। আবারও বিতর্ক উস্কে দিলেন পাতিল। মাইসুরুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলার সময় এই বিজেপি নেতা বলেন, “সরকারের নীতির জন্য কেউ এমন চরম সিদ্ধান্ত নেয় না। কেবল কৃষকরাই নন, শিল্পপতিরাও তো আত্মহত্যা করেন। সব আত্মহত্যাকে কৃষক আত্মহত্যা বলা যাবে না।
কর্ণাটকের ঐই কৃষিমন্ত্রী গত ৩ ডিসেম্বর কোড়াগু জেলার পোন্নাম্পেটে কৃষকদের জন্য আয়োজিত এক সভায় বলেন, ‘‘যে কাপুরুষরা নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের দায়িত্ব নিতে পারেন না, তাঁরাই আত্মহত্যা করেন।’’ রীতিমতো বিষোদগার করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”জলে পড়ে গেলে আমাদের সাঁতরাতে হয়। তবেই জেতা সম্ভব হয়ে ওঠে।”
তার এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের কংগ্রেস মুখপাত্র ভিএস উগরাপ্পা পাতিলের এহেন মন্তব্যটির তীব্র নিন্দা করেছেন।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।