Connect with us

দেশ

ভুল প্রমাণিত বুথফেরত সমীক্ষা, বিহারে জয়লাভ এনডিএ-র

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source India Today

নিজস্ব প্রতিনিধি : সমাপ্ত টানটান উত্তেজনা। ১২২-র ম্যাজিক ফিগার পার এনডিএ-র। ক্ষমতা ধরে রাখল এনডিএ জোট। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের হাতেই বিহারের ভার। ষষ্ঠবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। আরজেডি একক বৃহত্তম দল হলেও বিহার এখনো বিজেপির দখলে।

মঙ্গলবার মহাজোটের উত্থান দেখা গিয়েছিল দেরিতে। তবে, আরজেডি ৭৫ টি আসন নিয়ে রাজ্যের একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। বিজেপি পেয়েছিল ৭৪ টি এবং জেডি (ইউ) ৪৩ টি আসন। আর কংগ্রেস ১৯ টি আসন সুরক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছিল।

ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উপরই পুনরায় ভরসা রাখলেন বিহারবাসী। হিন্দি বলয়ে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড গড়ার পথে নীতীশ কুমার। যদিও নীতীশ বা এনডিএ -র এবারের জয়লাভ খুব একটা সহজ ছিলনা। প্রতি পদে পদে এনডিএ-কে টক্কর দিয়ে গেছে আরজেডি। ভোট পর্ব শুরুর পরই তেজস্বী যাদবের উপর বাজি ধরছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রথম বড় পরীক্ষাতেই নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদি-র মতো দুই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছিলেন তেজস্বী। একক বৃহত্তম দল হিসাবে উত্থান আরজেডির ৷ ৭৫ আসনে জয় আরজেডির।

ম্যাজিক ফিগার ১২২। আর এনডিএ জিতেছে ১২৫ টি আসন। আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে থামতে হল ১১০ টি আসনে। এনডিএ-র মধ্যে বিজেপি ৭৪ টি আসনে জয়ী হয়েছে। জেডিইউ ৪৩, ভিআইপি ও এইচএএম চারটি করে আসনে জিতেছে। মহাজোটের মধ্যে আরজেডি ৭৫, কংগ্রেস ১৯, বামেরা ১৬ টি আসন পেয়েছে।

বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষা পূর্বে তেজশ্বী যাদব-নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পক্ষে বিরাট জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল , তাতে রাষ্ট্রীয় জাতীয়তা দল (আরজেডি), রাজ্যের কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি ছিল। তখন আসন্ন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই নির্বাচনের চতুর্থ পদে নিজের জায়গাটা ধরে রাখার কামনা করছিল। সমস্ত এক্সেটিং পোল বলেছিল, এনডিএ-র জয়লাভের পথ ক্রমেই সংকীর্ণ হচ্ছে, আর মহাজোটের পথ হচ্ছে প্রশস্ত। তবে, এক্সেটিং পোলকে ভুল প্রমাণ করে মহাজোটের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল এনডিএ।

সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছিল ভোট গণনা। রাত ১১ টা পেরিয়েও চলল গণনা। ততক্ষণে অবশ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ১২২ টি আসনের ম্যাজিক ফিগার পার করে বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ। ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে ভোট দিন, ভোট প্রচারে বারবার আবেদন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে বলেছেন, ‘‘ফের জাতিবাদের বিরুদ্ধে রায় দিলেন বিহারবাসী। উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছে বিহার। বিহারে ডাবল ইঞ্জিনের জয়। এই ফলাফল বিকাশ, বিশ্বাস ও উন্নয়নের জয় ৷”

ভোটগণনায় অস্বাভাবিক দেরি নিয়ে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন মহাজোট শিবির। যদিও নির্বাচন কমিশনের দাবি, করোনা আবহে ভোট গণনায় যতটা সময় লাগার তাই লেগেছে।

ভোটের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক মহল বলছে, “শহর ও মফসর অঞ্চলে ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি। গ্রামাঞ্চলেও অটুট গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্ক। ভোটপ্রচারে বারবার এই ভোটারদেরই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির দল।” বিহারে জয়লাভের পর মোদি ট্যুইট করে বলেছিলেন, ‘‘বিহার আত্মনির্ভর হয়ে পথ দেখাবে। বিহারের তরুণ প্রজন্ম এনডিএ-র উপর ভরসা করেছে। বিহারে ১৫ বছর ধরে এনডিএ সরকারের সুশাসন। এর জেরেই ফের ক্ষমতায় এনডিএ সরকার ৷’’

শুধু যুব সমাজই নয়, বিহারের মেয়ে-বউদেরও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তাঁর মতে, ‘এবার রেকর্ড সংখ্যক মহিলারা ভোট দান করে দেখিয়ে দিয়েছেন, আত্মনির্ভর বিহার গঠনে তাদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ আমি আজ সন্তুষ্ট ও প্রসন্ন যে গত কয়েক বছরে এনডিএ তাদের প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জোগাতে পেরেছে ৷ এই আত্মবিশ্বাস বিহারকে এগোতে সাহায্য করবে ৷’

করোনা পরিস্থিতিতে ভোট প্রচার করে সাফল্য লাভ এনডিএ-র। পুনরায় বিহারে উড়ছে গেরুয়া পতাকা। তাবে, বাংলায় উড়বে কোন ধ্বজা? থাকবে জোড়া ফুল নাকি দখল গেরুয়ার। বছর ঘুরতেই তা বোঝা যাবে।

দেশ

কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ‌্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।

কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।

মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ‌্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট