দেশ
মন্দিরের ভিত পুজোয় ১১,০০০ লিটার দুধ,১৫০০ লিটার দই, ১ কুইন্টাল ঘি ঢেলে দেওয়া হল মাটিতে!
নিজস্ব প্রতিনিধি : আমরা ভারতবর্ষের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাস করি। দুঃখের বিষয় এখনও অনেক মানুষ দুবেলা ঠিকঠাক ভাবে খেতে পারে না। বিশেষ করে এই সময়টাতে যখন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া মহামারীর মারে দিনদিন জিনিসপত্রের দাম যেন আকাশছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। সবজি, ডালের পর বেড়েছে দুধের দাম। দুধের দাম প্রায় ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি মন্দিরের ভিত প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মাটিতে ঢেলে দেওয়া হল ১১,০০০ লিটার দুধ, দই, সঙ্গে ঘি। এটাই নাকি নিয়মের মধ্যে পড়ে। একের পর এক মানুষ বিরাটাকারের পাত্র করে ঢালছেন দুধ।স্রোতের মতো ভেসে যাচ্ছে দুধ। সঙ্গে আওড়াচ্ছেন মন্ত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমিয়ে দেখছেন।
রাজস্থানের জ্বালাওয়ার জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে দেব নারায়ণের মন্দির তৈরি হচ্ছে। মন্দিরের এক কর্তৃপক্ষ রামলাল গুজার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা দেব নারায়ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিত পুজোর অনুষ্ঠানে গুজর সম্প্রদায়ের সদস্য এবং এমনকি অন্যদের কাছ থেকে প্রায় ১১,০০০ লিটার দুধ, দেশি ঘি এবং দই সংগ্রহ করেছি”।
তিনি আরও জানিয়েছেন, “দই ছিল প্রায় ১,৫০০ লিটার। ঘি ছিল প্রায় ১ কুইন্টাল। যার খরচ হয়েছে প্রায় ১.৫০ লাখ টাকা”। এই অনুষ্ঠান দুধ, ঘি, দই বাধ্যতামূলক কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, “এটি ঐতীহ্য। অতীতেও কয়েকবার করা হয়েছে। সেই ঐতিহ্যকেই রক্ষা করা হয়েছে।”
তিনি আবারও বলেন, “গুজর সম্প্রদায়ের মতে এই দুধ ঘি দই ঢালা একেবারেই নষ্ট করা নয় কারণ আমরা দেবনারায়ণ দেবতাকে তুষ্ট করলাম। তিনি আমাদের গবাদি পশুদের রক্ষা করবে”।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।