Connect with us

শিক্ষা

“রবীন্দ্রনাথ নিজেই বহিরাগত ছিলেন” – উপাচার্য

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : পৌষমেলার প্রাঙ্গনের চারিদিকে পাঁচিল ওঠানোকে কেন্দ্র করে আগেই অনেক জল ঘোলা হয়েছিল, এবার“রবীন্দ্রনাথ নিজেই বহিরাগত ছিলেন”, এমনই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।

“শান্তিনিকেতনে পড়লেই রাবীন্দ্রিক হওয়া যায়না। ভূমিপুত্র হওয়ার কারণে অনেকেই চাকরির দাবিদার হয়, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাদের জন্মগত অধিকার বলে দাবি করে। রবীন্দ্রনাথ নিজেই বহিরাগত ছিলেন”, এমনটাই দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথ কোনোদিনই প্রাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষপাতী ছিলেন না। তাই চার দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে পড়াশোনার প্রথা চালু করেছিলেন পাঠভবনে। বিশ্বভারতীর সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে পাঁচিল তুলে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়তে হলো উপাচার্যকে। তবে তিনি বলেছেন মেলার মাঠে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম ঠেকাতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,“কিছু মানুষ এবং বহিরাগত, যাদের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল না, তারাই দেওয়াল পাহারা দিচ্ছিলো।”

তৃণমূলের district coordinator অভিজিৎ সিনহা বলেছেন,“উপাচার্যের বহিরাগতদের সমর্থন করা দরকার যেহেতু তিনি বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস গেরুয়ারঙে রাঙাতে চান। তাঁর চিন্তাধারা বিজেপির তত্ত্বকেই ধ্বনিত করছে। এটি ভীষণই নিন্দনীয় যে উনি রবীন্দ্রনাথঠাকুরকে বহিরাগত বলেছেন। এমনকি প্রাচীর ধ্বংসের ঘটনার পর উনি রাজ্য সরকারের ডাকা বৈঠক থেকে দূরে থেকেছেন, যা রাজ্যের প্রশাসনব্যবস্থার উপর ওনার আস্থাহীনতাকে প্রদর্শিত করে।”

পরে উপাচার্য তাঁর প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনার সমর্থনে বলেছেন, শ্রীনিকেতন এবং শান্তিনিকেতনের অনেক খেলার মাঠ ঘেরা আছে।পুরোনো মেলার মাঠ তিরিশ বছর থেকে ঘেরা আছে, এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ই চীনা ভবন ঘেরা হয়েছে।

শিক্ষা

ICSE দশম ও ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন ঘোষণা করলো বোর্ড।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় একবছর বন্ধ বিদ্যালয়, তবে একে বারে বন্ধ হয়ে যায়নি পঠন পাঠন। ভার্চুয়াল ভাবেই চলছিল শিক্ষার আদান-প্রদান। এবার পরীক্ষা নেওয়ার পালা। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন থাকায় কবে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় সেই জট কেটেছে। কাজেই আর দেরি না করে প্রকাশ করা হল বোর্ডের পরীক্ষার সূচি।

গত সোমবার সন্ধ্যায় আইসিএসই বোর্ড কর্তৃপক্ষ আগামী পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে না বরং লিখিত মাধ্যমেই হবে এই পরীক্ষা গুলি। মে মাসের ৫ তারিখেই শুরু হচ্ছে দশম শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা, চলবে জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত। অন্য দিকে আইএসসি, অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৮ এপ্রিল, পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ১৬ জুন।

দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন হবে ৮ এপ্রিল, হোম সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন এবং ইন্ডিয়ান মিউজ়িক কর্নাটকি পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল হবে ৯ এপ্রিল। বাকি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা গুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যালয় গুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে নিজেদের সুবিধামতো সেই সমস্ত পরীক্ষা নিতে পারবে স্কুলগুলি। পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি জানা যাবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.cisce.org)।

আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানিয়েছিলেন, এ বার পরীক্ষা হবে কোভিড-বিধি মেনে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মাস্ক ও নিজস্ব স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে আনতে হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা দস্তানা পড়বেন কি না সেই বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট বিধি জানায়নি বোর্ড। এ বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাধীনতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে রাখতে হবে জলের বোতলও। এই সমস্ত নিয়ম ছাড়াও আরও বেশকিছু বিধি ঘোষণা করেছে বোর্ড। এবার বন্ধু বান্ধবী মিলে আর টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না। পরীক্ষার সরঞ্জাম তথা পেন, স্কেল প্রভৃতি নেওয়া যাবে না অন্যের কাছ থেকে। মূলত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে যেতেই ব্যবস্থা।

দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। প্রশ্ন পত্র দেওয়া হবে ১০টা ৪৫ মিনিটে। উত্তর লেখা শুরু করতে হবে ১১টা থেকে। অন্য দিকে, দ্বাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ১টা ৪৫ মিনিটে দিয়ে দেওয়া হবে প্রশ্নপত্র। লেখা শুরু করা যাবে দুপুর ২টোয়।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট