কলমের আঁচড়ে
বাঙালির ঘরে ঘরে রেইনকোট পৌঁছে দিলো স্বদেশী ‘ডাকব্যাক’
সৌমেন্দু বাগ : বর্ষা কার ভালো লাগে না? না, এ বর্ষা এফবি তে রোমান্টিক কোবিতা আর একটা জানলার ছবি দিয়ে হাজার লাইক পাওয়া বর্ষা নয়। এই বর্ষা স্কুল থেকে ফেরার পথে রাস্তায় ঝাপানোর বর্ষা , কাদা মেখে বাড়ি ফেরার বর্ষা, মায়ের কাছে বকুনি খাওয়া বর্ষা। ছেলে/ মেয়ের এই দুরন্তপনা তো আটকানো সম্ভব না, কিন্তু প্রতিদিন কাপড় কাচার খাটুনি থেকে মুক্তি পেতে মা চাপিয়ে দিলেন ব্রহ্মাস্ত্র – রেইনকোট। একসময়ের বিশ্বস্ত এক অস্ত্র আজকে প্রায় হারিয়ে যেতে থাকলেও আমরা অনেকেই জানি না ভারতের মায়েদের হাতে তুলে দেওয়া এই অস্ত্রের প্রথম কারিগর ‘ডাকব্যাক’ এবছর শতবর্ষে পা দিয়েছে।
1920 সাল। স্বদেশী আন্দোলনে উত্তাল আসমুদ্রহিমাচল। দিকে দিকে চলছে বিদেশী পণ্য বয়কটের ডাক। আর শুধু বয়কট করলে তো হবে না। বিকল্প ব্যবস্থা ও গ্রহন করতে হবে। কলকাতা থেকে বোম্বে দিকে দিকে ভারতীয়রা সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তুলছেন একের পর এক নিত্য প্রয়জনীয় দ্রব্যের কারখানা। তারই মাঝে ফলিত রসায়ন নিয়ে বারকেলি ও স্ট্যানফোর্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বদেশফেরত সুরেন্দ্রমোহন বসু উদ্যোগ নিলেন তুমুল বৃষ্টিতেও আমাদের শরীর কে শুকনো রাখার। তৈরি হলো বাঙালির waterproof star brand , ‘Duckback’। বিদেশ থেকে আমদানি হওয়া রেইনকোট অত্যন্ত দামি ও সাধারণ মানুষের কাছে মূল্যবান হওয়ায় , বসুবাবুর রেইনকোট খুব সহজেই জনপ্রিয় হয়ে গেল। বহুদিন পর্যন্ত বাংলার মানুষের কাছে waterproof পরিধান বলতে ‘ডাকব্যাক’ ই বুঝতো। ভারতীয় জনগণের কাছে এই কোম্পানির ইউ এস পি ছিল ইহার সহনশক্তি। একবার কিনলে কয়েকবছর নিশ্চিন্ত থাকা যেত। আর ইহার নামের উৎপত্তিও খুব আকর্ষণীয়। ‘Like water off a duck’s back’ এই ইডিওম থেকে duckback কথার জন্ম।
বিখ্যাত এই কোম্পানির সূচনা কিন্তু কোনো অনুকূল পরিবেশে , বিজ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়ে হয়নি। হয়েছিল জেলের অন্ধকারে। সুরেন্দ্রমোহন স্বদেশে ফিরে প্রত্যক্ষ ভাবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজ সরকারের হয়ে লড়া ভারতীয় সৈন্যদের ভয়াবহ অবস্থার বিরুদ্ধে এবং বিভিন্ন সরকারি নীতির বিরুদ্ধে সরাসরি রাস্তায় নামেন। তারই আশীর্বাদস্বরূপ ‘anti-state activities’ আইনে জেলে যান। সেখানেই তিনি উপলব্ধি করেন স্বদেশী দ্রব্যের উপযোগিতার কথা আর সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিকূল পরিবেশে লড়তে থাকা সংগ্রামীদের অসহায়তার কথা, যাদের কাছে পড়ার মতো জুতো অবধি ছিল না।
তারপরেই জেল থেকে বেরিয়ে তিন ভাই- অজিত মোহন, যোগিন্দ্র মোহন আর বিষ্ণুপদকে নিয়ে সুরেন্দ্রমোহন কৃত্রিম রাবার তৈরির এক নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতি আবিষ্কার করে সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে শতবর্ষ প্রাচীন রাবার কারখানা Bengal waterproof works এর উদ্বোধন করলেন দক্ষিণ কলকাতার নজর আলী লেনে।
কিছুদিন পরে ,1938 এ বিপুল জনপ্ৰিয় হওয়ায় সুরেন্দ্রবাবু ‘ডিকোন’ নামের এক বন্ধ রাবার কোম্পানি কিনে তার উৎপাদন কারখানা স্তানান্তরিত করেন পানিহাটি তে। তারপর তিনি কোম্পানির নাম বদলান Bengal Waterproof limited, যদিও ততদিনে গোটা বাংলায় duckback নামটাই ছড়িয়ে পড়েছে।
চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে রেইনকোট ছাড়াও স্কুলব্যাগ, অফিসব্যাগ, ডাক ব্যাগ, আইস ব্যাগ, এয়ার পিলো, বর্ষার জুতো,রবার হিল, গামবুট, ঘোড়ার জিন প্রভৃতি প্রস্তুত করে বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠলো এই কোম্পানি। শুধু তাই নয়, ভারতের সৈন্যদলের কাছেও খুব পরিচিত ছিল এই কোম্পানি ,ডাকব্যাকের তৈরি তাঁবু, অক্সিজেন মাস্ক, লাইফ জ্যাকেট, রাবারের জুতো, প্যারাসুট ,ডুবুড়িদের পোশাক ইত্যাদি ব্যাপকহারে ব্যবহারের জন্য
কিন্তু সময় বড় শত্রু, ধীরে ধীরে বাজারে আরো সস্তা( কিনতু টেকসই নয়) রেইনকোট চলে এলে আর শহরের প্রায় সমস্ত স্কুল বাস কিংবা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিলে ডাকব্যাক প্রায় বসে যেতে বসেছিল। তারপর তারাই 2006 এর দিকে আরো হালকা আর হুডি রেইনকোট নিয়ে এসে মূলত দুচাকা চালকদের নজর কাড়ার চেষ্টা করলো। আরো কিছু গবেষণা করার পর ডাকব্যাক ,National Council of Science Museum এর সহযোগিতায় ভারতের প্রথম astrodome তৈরি করলো, এই astrodome গুলি অনেক হালকা, পরিবহনযোগ্য, জলনিরোধী এবং সুলভ। আজও দেশের বিভিন্ন সায়েন্স মিউজিয়ামে ‘ডাকব্যাক’এর তৈরি astrodome দেখা যাবে।
শতবর্ষ প্রাচীন এই কোম্পানি আজ ধ্বংসের মুখে। শহরের কিছু স্থানে টিমটিম করে জ্বলে থাকে তাদের স্টল। অত্যন্ত নিম্নমানের , বিদেশি, অথচ দামি আজ যখন বাজারে রমরমিয়ে চলছে, আমাদের মতো কিছু পুরোনোপন্থী মানুষ যারা এখনো duckback এর ব্যাগ ব্যবহার করে, আশা দেখি নতুন কোনো আইডিয়া কিংবা জিনিস নিয়ে তারা আবার ফিরবে দেশবাসীর ঘরে ঘরে। আজকের এই হুজুগে ‘চীনাদ্রব্য বয়কট’ এর যুগে ভারতের অর্থনীতির জীবন্ত জীবাশ্ম ডাকব্যাক ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না?
কলমের আঁচড়ে
পৃথিবীর বুকে মেনে চলা কিছু বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কর সত্কার-রীতি!
বিশ্বজিৎ দাস : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলে গেছেন “জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে?” অর্থাৎ জন্মগ্রহণ করলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। মানুষের মৃত্যুর পর সৎকার করা হয়। সভ্যতার প্রথম দিক থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। এই সৎকারের সময় টা খুবই কঠিন, বিশেষত নিকটজনের কাছে। সে সব আঁকড়ে থাকে, কারণ একবার ছেড়ে দিলে আর পাওয়া যাবে না। এই ভাবাবেগ থেকেই স্মৃতি রক্ষার ভাবনা শুরু। মৃতের ব্যবহৃত জিনিস রেখে দেওয়া, যেমন চুল কিছুটা কেটে যত্ন করে রেখে দেওয়া ছিল পুরনো প্রথা। অনেকে দাঁত সংরক্ষন করত। বুদ্ধের দাঁত কলকাতার জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে আজও।
কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মধ্যেই মৃত্যুর পর কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করার রীতি আছে। কিছু নিয়ম বিজ্ঞানসম্মত আবার কিছু একেবারে অদ্ভুত। মৃতদেহ সত্কারের জন্য কেউ যেখানে মৃতদেহটি পুড়িয়ে ফেলেন, আবার কেউ বা মাটিতে কবর দেন। আবার কেউ বা সযত্নে সেটিকে কফিনজাত করেন। কিন্তু এসবের বাইরেও এমন অনেক রীতিনীতি আছে যেগুলি আমার আপনার স্বাভাবিক ভাবনা চিন্তার বাইরে।
সাধারণ মানুষের কাছে মৃত ব্যক্তিকে মাটিতে কবর দিয়ে রাখা বা আগ্নিদাহ করা পরিবেশগত কারণে মোটামুটি স্বাভাবিক মনে হলেও কিছু কিছু সংস্কৃতিতে মৃত ব্যক্তি সমাহিত করার পদ্ধতি অবাক করার মতো।
পৃথিবী জুড়ে চলা এই আশ্চর্য ও কিছুটা ভয়ঙ্কর মৃত্যু অনুষ্ঠান গুলি হল :
১. মমিফিকেশন :
এই ঘটনা আমার আপনার কিছুটা জানা। প্রাচীন মিশরের ফারাওদের মরদেহ মমি করে সমাহিত করা হতো। এই পদ্ধতিতে প্রথমে দেহের অভ্যন্তরীণ সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করা হয়। এরপরে দেহের সব আর্দ্রতা অপসারিত করা হয়। শেষে লম্বা আকৃতির লিনেন কাপড় দিয়ে দেহ মুড়ে ফেলা হয়।
তবে আধুনিক মমিফিকেশন পদ্ধতি আলাদা।বর্তমানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য কিছু রাসায়নিক তরল ভর্তি পাত্রে দেহ ডুবিয়ে রাখা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি মৃতদেহ সৎকারের কোনো রীতি নয়; এটি মৃতদেহ সংরক্ষণ পদ্ধতি।
২. মৃতের পুনর্জাগরণ :
এই অদ্ভুত প্রথাটি পালন করা হয় মাদাগাস্কায়। প্রতি পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর। তার নিকটাত্মীয়রা কবর খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির দেহাবশেষ বের করে আনে। এরপর মৃত ব্যক্তিকে নতুন পোশাক পরানো হয় এবং পারিবারিক ভোজে তাকে বসিয়ে রাখা হয়।এদিন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে গানের তালে তালে নাচতেও দেখা যায়। পারিবারিক পুনর্মিলন হিসেবে প্রথাটিকে দেখা হয়।
৩. এন্ডোক্যানিবালিজম (Endocannibalism) :
এই বিশেষ মৃত্যু অনুষ্ঠানটি দেখতে পাওয়া যায় আমাজন রেইন ফরেস্টের ইয়ানোমমি উপজাতি, পাপুয়া নিউ গিনির মেলানসিয়ানস উপজাতি এবং ব্রাজিলের ওয়ারীরা উপজাতির মধ্যে।এখানে একটি মৃতদেহকে বা দেহাংশকে ভক্ষণ করা হয়। তাদের বিশ্বাস এই প্রথার মধ্যে দিয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মা স্বর্গে যাবে।
এই জাতির মানুষেরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। উপরন্তু তারা ভাবেন যে, তাদের প্রতিদ্বন্দী গোষ্ঠী কোনো অশুভ আত্মাকে প্রেরণ করেছে। সেই কারণে এই ঘটনা রোধ করার জন্য তারা এই অনুষ্ঠানটি করে থাকেন। যাতে মৃত ব্যাক্তির আত্মা জীবিত থাকে এবং তার পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারে।
এই অনুষ্ঠানটি করার জন্য প্রথমে তারা মৃতদেহটিকে পাতা দিয়ে মুড়ে বাড়ি (যেখানে তিনি মারা গেছেন) থেকে অল্প দূরে জঙ্গলে রেখে আসেন। এর পর মোটামুটি ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় সেই পঁচাগলে যাওয়া মৃতদেহ থেকে হাড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এরপর কলা দিয়ে বানানো একধরণের সুপের মধ্যে মৃতদেহের ছাই মিশিয়ে গোষ্ঠীর সকলে সেটি পান করে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র গোষ্ঠীর শিশু ও মহিলারা পালন করেন।
৪. তিব্বত বৌদ্ধ মহিমা কবর/ তিব্বতের আকাশ সৎকার (Tibetan Buddhist Celestial Burials or Sky burial) :
এই সৎকার অনুষ্ঠানটি তিব্বতি ঐতিহ্যের প্রতীক। এই অনুষ্ঠানে মৃতদেহকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পাহাড়ের মাথায় রেখে আসা হয় এবং পাখিদের (বিশেষত শিকারী পাখিদের) ওই দেহাংশ ভক্ষণ করতে দেওয়া হয়। অনেক সময় অক্ষত মৃতদেহও রেখে দেওয়া হয় এই পাখিদের খাদ্য হওয়ার জন্য।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে মৃতদেহকে খালি জাহাজ মনে করা হয় যা সংরক্ষনের কোনো দরকার নেই।মূলত, তিব্বতের কঠিন জলবায়ু ও পাথরে ভরা জমিতে কবর দেওয়া এক পক্ষে অসম্ভব।৫. সাসপেন্ড কবরস্থান (Suspended Burials) : এই সৎকার অনুষ্ঠানটি প্রাচীন চীন বংশের মধ্যে দেখা যায়। এখানে তারা মৃতদেহকে কফিনে পুড়ে উঁচু পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত শিলার উপর ঝুলিয়ে রেখে দেয়। সাধারণের বিশ্বাস, মৃতদেহকে আকাশের কাছাকাছি রাখা উচিত যাতে তারা বন্য প্রাণীদের নাগালের বাইরে এবং ভগবানের নাগালের মধ্যে বা কাছাকাছি থাকতে পারে।
৫. সতী :
উপযুক্ত কারণেই হিন্দু ধর্মে সতীদাহ প্রথার প্রচলন বর্তমানে নিষিদ্ধ। তবুও একটা সময়ে এই নিষ্ঠুর ও অমানবিক সৎকার হিন্দু ধর্মের এক সনাতনী ঐতিহ্য হিসাবেই মানা হত। এই রীতি অনুযায়ী, মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী কে বধূবেশে সাজিয়ে একই চিতায় মৃত্যু বরণ করতে হত। সেই সময় দাবি করা হত, সতীদাহ প্রথার মাধ্যমে মৃত স্ত্রী সতিরূপে স্বর্গলাভ করবে।
৬. ভাইকিং ফিউনারেল (The Viking Funeral) :
এটি একটি অন্যতম নৃশংস সৎকার অনুষ্ঠান। এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে একটি অস্থায়ী কবরে দশ দিনের জন্য রাখা হত। পাশাপাশি চলত মৃতের জন্য নতুন জামাকাপড় তৈরির কাজ। অন্যদিকে একজন ক্রীতদাসীকে বেছে নেওয়া হত, যে ওই মৃত মানুষটির পরবর্তী জীবনের সঙ্গিনী হবে। এরপর সেই মেয়েটি ওই গ্রামের সকলের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। তাদের মতে এই বর্বরতায় নাকি ছিল মৃতব্যাক্তির প্রতি প্রেম নিবেদন। তারপর ওই দাসীর গলায় ফাঁস দিয়ে এবং সবশেষে ছুরি মেরে হত্যা করা হতো।
এরপর একটি কাঠের জাহাজে মৃত ব্যাক্তির সাথে তাকেও রেখে দিয়ে অগ্নি সংযোগ করা হত।
৭. আঙুলের আবৃততা (Ritual Finger Amputation) :
এই মৃতদেহ সৎকারের নিয়মটি পাপুয়া নিউ গিনির দানি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত।
এই নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কোনো প্রিয় ব্যক্তি মারা গেলে তার সঙ্গে সম্বন্ধিত মহিলা ও শিশুরা তাদের আঙুলের কিছু অংশ কেটে ফেলত। এরপর কাদা ও ছাই মুখে মেখে মৃতব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করত।
৮. টোটেম পোলস (Mortuary Totem Poles) :
স্থানীয় সভ্যতার বিভিন্ন গল্প তুলে ধরার জন্য টোটেম পোল তৈরি করা হয়। হায়দা উপজাতির মধ্যে এই রীতি দেখতে পাওয়া যায়। এই রীতি অনুযায়ী মৃতব্যাক্তির শরীরকে পেটানো হবে যতক্ষন না এটি একটি ছোট বাক্সে এঁটে যায়।এরপর এই বাক্সটি একটি টোটেম পোল এর উপর রেখে মৃত ব্যাক্তির বাড়ির সামনে রেখে আসা হয়।
৯. বারিড ইন ফ্যান্টাসি কফিন (Buried in a fantasy Coffin) :
এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে এমন একটি কফিনে রাখা হয় যেটি তার জীবনকে অথবা পেশাকে উপস্থাপনা করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিমান চালক কে বিমানরূপী কফিনে, কোনো জেলেকে মাছরূপী কফিনে আবার কোনো ধনী ব্যাবসায়ীকে একটি দামি গাড়ীরূপী কফিনে রাখা হয়।
১০. অন্ধ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (Blindfolded funeral) :
এই মৃতদেহ সৎকারের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহের চোখ বেঁধে তাকে বাড়ির মুখ্য দরজার সামনে রেখে দেওয়া হয়। এটি দেখা যায় উত্তর পশ্চিম ফিলিপিনেসে।
এছাড়াও সারা পৃথিবী জুড়ে আরও নানান ধরনের অদ্ভুত এবং ভয়ংকর সৎকার অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়া যায়।