কলমের আঁচড়ে
ধ্বংস হয়ে যাক বন, অর্থ তো সবার আগে.. কয়লাখনি নিলাম মোদীর!
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2020/11/modi-socialupdate.jpeg)
মৃণাল কান্তি দাস : বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত, বনজঙ্গল কাটা পড়ছে মানুষের করাল গ্রাসে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খোদ মানবসমাজই, বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কিন্তু আমাদের তো হুশ হবে না। এক সময় আমাদের বলা হত‘মানুষ’ মানে হল যার‘মান’ আর‘হুশ’ উভয় আছে। কিন্তু‘হুশ’ তো নজরে আসছে না! প্রকৃতিও নিজের ক্ষোভ উগ্রে দিচ্ছে আমাদের উপর, মহামারী-সাইক্লোন-ভূমিকম্প কোন্ প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাকি আছে বলতে পারবেন? দীর্ঘ লকডাউন প্রকৃতি‘মাতা’ নিজেকে একটু গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল, এত বছরের অত্যাচারের পরেও এই ক্ষুদ্র সময়ে একটু হলেও গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল নিজেকে। পরিযায়ী পাখিরা ফিরে এসেছে-বাতাসে দূষণের মাত্রা কম-ফাঁকা রাস্তায় নাচ করেছে ময়ূর-সমুদ্রতটে প্রান পেয়েছে হাজার কচ্ছব। এমন সময়ই দেশের ৪১ টি কয়লা খনি বাণিজ্যিক খননের উদ্দেশে নিলাম করে দিলেন‘ভারতীয়’ প্রধানমন্ত্রী‘শ্রী’ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী, খনি গুলির বেশিরভাগই জীব-বৈচিত্র পূর্ণ ঘন জঙ্গলের মধ্যে থাকলেই বা কি আসে যায়? তিনি প্রধানমন্ত্রী, ভারতীয় জনতা পার্টি করেন,‘ভারত মাতা’র পূজা করেন,‘প্রকৃতি মাতা’র ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে পারেন নাকি!
গত বৃহস্পতিবার নিলামের উদ্বোধন করেছেন মোদী। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক বির্তকের ঝড় উঠলেও টা কতটা শক্তিশালী ভবিষ্যতে জানা যাবে। আপাতত তিনি বলেছেন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই নিলাম নাকি এক বিরাট অর্থনৈতিক‘সুযোগ’। এ বিষয় পরিবেশবিদরা অবশ্য একটু বেশিই লাফালাফি করছেন। তারা জানেনই না‘আমাদের’ প্রধানমন্ত্রী কত জ্ঞানী মানুষ, ধ্যান-ধর্ম-যোগ-পরিবেশ এই সমস্ত নিয়েই তো তাঁর‘সন্ন্যাস’ তুল্য জীবন।
ভারত সরকার নিলামের জন্য যে ৪১ টি খনি বাছে নিয়েছেন তার মধ্যে বেশ কয়েকটি রয়েছে ভারতের এক লক্ষ সত্তর হাজার (১,৭০,০০০) হেক্টর জুড়ে থাকা হাসদেও আরন্দ অরণ্য অঞ্চলের। এই অঞ্চল তার জীববৈচিত্র এবং পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষার ভূমিকার জন্য ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড। MSTC এর ওয়েবসাইটে উক্ত খনি গুলির যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যায় তাতে দেখা গেছে যে বেশ কিছু খনির বনদপ্তরের কোনও ছাড়পত্র নেই এবং সেগুলি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে অবস্থান করছে।
মোগ্রা ২ নামক কয়লা খনি যার মোট অঞ্চল হল ২৬.৬৪ বর্গ কিলোমিটার তার ৮৫% অঞ্চলই হল বনাঞ্চল। ছত্তিশগড়ে প্রায় ২১ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে থাকা মদনপুর উত্তর খনির প্রায় ১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বনাঞ্চলের অন্তর্গত। এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে হাসদেও নদীতে মেশা বেশ কিছু উপনদী। এই খনিটিরও কিন্তু এখন পর্যন্ত বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পায়নি। আরে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে খনির নিলাম উদ্বোধন করেন তাড়াবার ছাড়পত্রের কি দরকার!
শুধু ছত্রিশগড় নয়, তালিকায় আছে বেশকিছু ঝাড়খন্ড মধ্যপ্রদেশের কয়লা খনিও। মধ্যপ্রদেশ স্থিত খনি গুলির ৮০% এলাকাজুড়ে রয়েছে বনাঞ্চল। এখানেও রয়েছে সিতারেওয়া নদীর গতিপথের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ। এইজন্যই নদীগুলো বাঁকা হয়, সব কাজে বাধা।‘সুস্থ’ কাজের বাধা না হলে যেন এদের গতিপথই পূর্ণ হয়না!
অবশ্য গত ১০ জুন আমাদের ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী কে খনি নিলামের পদ্ধতি বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি মনে করেন, বাণিজ্যিকভাবে খনন শুরু হওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে বনজ সম্পদ ধ্বংস হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। আর বনসম্পদ নষ্ট হলে ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অরণ্য আশ্রিত জনজাতি। কি লোক রে বাবা! আমাদের প্রধানমন্ত্রী কত খেটে বুদ্ধি বার করে এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে‘ফাইভ ট্রিলিয়ন ইকোনমি’ উপহার দেওয়ার রাস্তা করছেন, আর এরা সব বাধা দিতে ব্যস্ত! এইজন্যই তো কেন্দ্র এঁর কোনও কথা শোনেনি, সিদ্ধান্তের কোন রদবদল করেননি মোদী জি!
সংবাদ মাধ্যম হিন্দুষ্টান টাইমস কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করেছিল, অবশ্য কোনও জবাব দেওয়া হয়নি, কেন দেবে? অবশ্য নামটা ভালো‘হিন্দুস্থান’ টাইমস!
সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ না কি এক সংস্থার আইনি গবেষককাঞ্চি কোহলিআবার বলেছেন,“কেন্দ্রের এই কয়লাখনির নিলাম পঞ্চম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত স্পর্শকাতর জীববৈচিত্রপূর্ণ অরণ্যাঞ্চলকে উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। নিলামের সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট যে সরকার এই সমস্ত অঞ্চল শুধুমাত্র কয়লা উৎপাদন ক্ষেত্র হিসেবেই দেখছে, যেখানে বাণিজ্যিক খননের ফলে মোটা আর্থিক মুনাফা লুটবে বেসরকারি সংস্থা…..” এরা‘আমাদের’ প্রধানমন্ত্রীকে কোনও ভালো কাজ করতে দিতেই চায়না, শুধু বাঁধা!
কলমের আঁচড়ে
পৃথিবীর বুকে মেনে চলা কিছু বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কর সত্কার-রীতি!
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/1_Family-Members-Perform-Manene-Ritual-To-Honor-The-Spirits-Of-Their-Mummified-Ancestors-Nort-Toraja.jpg)
বিশ্বজিৎ দাস : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলে গেছেন “জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে?” অর্থাৎ জন্মগ্রহণ করলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। মানুষের মৃত্যুর পর সৎকার করা হয়। সভ্যতার প্রথম দিক থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। এই সৎকারের সময় টা খুবই কঠিন, বিশেষত নিকটজনের কাছে। সে সব আঁকড়ে থাকে, কারণ একবার ছেড়ে দিলে আর পাওয়া যাবে না। এই ভাবাবেগ থেকেই স্মৃতি রক্ষার ভাবনা শুরু। মৃতের ব্যবহৃত জিনিস রেখে দেওয়া, যেমন চুল কিছুটা কেটে যত্ন করে রেখে দেওয়া ছিল পুরনো প্রথা। অনেকে দাঁত সংরক্ষন করত। বুদ্ধের দাঁত কলকাতার জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে আজও।
কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মধ্যেই মৃত্যুর পর কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করার রীতি আছে। কিছু নিয়ম বিজ্ঞানসম্মত আবার কিছু একেবারে অদ্ভুত। মৃতদেহ সত্কারের জন্য কেউ যেখানে মৃতদেহটি পুড়িয়ে ফেলেন, আবার কেউ বা মাটিতে কবর দেন। আবার কেউ বা সযত্নে সেটিকে কফিনজাত করেন। কিন্তু এসবের বাইরেও এমন অনেক রীতিনীতি আছে যেগুলি আমার আপনার স্বাভাবিক ভাবনা চিন্তার বাইরে।
সাধারণ মানুষের কাছে মৃত ব্যক্তিকে মাটিতে কবর দিয়ে রাখা বা আগ্নিদাহ করা পরিবেশগত কারণে মোটামুটি স্বাভাবিক মনে হলেও কিছু কিছু সংস্কৃতিতে মৃত ব্যক্তি সমাহিত করার পদ্ধতি অবাক করার মতো।
পৃথিবী জুড়ে চলা এই আশ্চর্য ও কিছুটা ভয়ঙ্কর মৃত্যু অনুষ্ঠান গুলি হল :
১. মমিফিকেশন :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/mummification.jpg)
এই ঘটনা আমার আপনার কিছুটা জানা। প্রাচীন মিশরের ফারাওদের মরদেহ মমি করে সমাহিত করা হতো। এই পদ্ধতিতে প্রথমে দেহের অভ্যন্তরীণ সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করা হয়। এরপরে দেহের সব আর্দ্রতা অপসারিত করা হয়। শেষে লম্বা আকৃতির লিনেন কাপড় দিয়ে দেহ মুড়ে ফেলা হয়।
তবে আধুনিক মমিফিকেশন পদ্ধতি আলাদা।বর্তমানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য কিছু রাসায়নিক তরল ভর্তি পাত্রে দেহ ডুবিয়ে রাখা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি মৃতদেহ সৎকারের কোনো রীতি নয়; এটি মৃতদেহ সংরক্ষণ পদ্ধতি।
২. মৃতের পুনর্জাগরণ :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/madagaska.png)
এই অদ্ভুত প্রথাটি পালন করা হয় মাদাগাস্কায়। প্রতি পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর। তার নিকটাত্মীয়রা কবর খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির দেহাবশেষ বের করে আনে। এরপর মৃত ব্যক্তিকে নতুন পোশাক পরানো হয় এবং পারিবারিক ভোজে তাকে বসিয়ে রাখা হয়।এদিন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে গানের তালে তালে নাচতেও দেখা যায়। পারিবারিক পুনর্মিলন হিসেবে প্রথাটিকে দেখা হয়।
৩. এন্ডোক্যানিবালিজম (Endocannibalism) :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/Endocannibalism-1.jpg)
এই বিশেষ মৃত্যু অনুষ্ঠানটি দেখতে পাওয়া যায় আমাজন রেইন ফরেস্টের ইয়ানোমমি উপজাতি, পাপুয়া নিউ গিনির মেলানসিয়ানস উপজাতি এবং ব্রাজিলের ওয়ারীরা উপজাতির মধ্যে।এখানে একটি মৃতদেহকে বা দেহাংশকে ভক্ষণ করা হয়। তাদের বিশ্বাস এই প্রথার মধ্যে দিয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মা স্বর্গে যাবে।
এই জাতির মানুষেরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। উপরন্তু তারা ভাবেন যে, তাদের প্রতিদ্বন্দী গোষ্ঠী কোনো অশুভ আত্মাকে প্রেরণ করেছে। সেই কারণে এই ঘটনা রোধ করার জন্য তারা এই অনুষ্ঠানটি করে থাকেন। যাতে মৃত ব্যাক্তির আত্মা জীবিত থাকে এবং তার পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারে।
এই অনুষ্ঠানটি করার জন্য প্রথমে তারা মৃতদেহটিকে পাতা দিয়ে মুড়ে বাড়ি (যেখানে তিনি মারা গেছেন) থেকে অল্প দূরে জঙ্গলে রেখে আসেন। এর পর মোটামুটি ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় সেই পঁচাগলে যাওয়া মৃতদেহ থেকে হাড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এরপর কলা দিয়ে বানানো একধরণের সুপের মধ্যে মৃতদেহের ছাই মিশিয়ে গোষ্ঠীর সকলে সেটি পান করে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র গোষ্ঠীর শিশু ও মহিলারা পালন করেন।
৪. তিব্বত বৌদ্ধ মহিমা কবর/ তিব্বতের আকাশ সৎকার (Tibetan Buddhist Celestial Burials or Sky burial) :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/Sky-Burial-1024x535.jpg)
এই সৎকার অনুষ্ঠানটি তিব্বতি ঐতিহ্যের প্রতীক। এই অনুষ্ঠানে মৃতদেহকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পাহাড়ের মাথায় রেখে আসা হয় এবং পাখিদের (বিশেষত শিকারী পাখিদের) ওই দেহাংশ ভক্ষণ করতে দেওয়া হয়। অনেক সময় অক্ষত মৃতদেহও রেখে দেওয়া হয় এই পাখিদের খাদ্য হওয়ার জন্য।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে মৃতদেহকে খালি জাহাজ মনে করা হয় যা সংরক্ষনের কোনো দরকার নেই।মূলত, তিব্বতের কঠিন জলবায়ু ও পাথরে ভরা জমিতে কবর দেওয়া এক পক্ষে অসম্ভব।৫. সাসপেন্ড কবরস্থান (Suspended Burials) : এই সৎকার অনুষ্ঠানটি প্রাচীন চীন বংশের মধ্যে দেখা যায়। এখানে তারা মৃতদেহকে কফিনে পুড়ে উঁচু পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত শিলার উপর ঝুলিয়ে রেখে দেয়। সাধারণের বিশ্বাস, মৃতদেহকে আকাশের কাছাকাছি রাখা উচিত যাতে তারা বন্য প্রাণীদের নাগালের বাইরে এবং ভগবানের নাগালের মধ্যে বা কাছাকাছি থাকতে পারে।
৫. সতী :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/sati1-v1-1-1024x658.jpg)
উপযুক্ত কারণেই হিন্দু ধর্মে সতীদাহ প্রথার প্রচলন বর্তমানে নিষিদ্ধ। তবুও একটা সময়ে এই নিষ্ঠুর ও অমানবিক সৎকার হিন্দু ধর্মের এক সনাতনী ঐতিহ্য হিসাবেই মানা হত। এই রীতি অনুযায়ী, মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী কে বধূবেশে সাজিয়ে একই চিতায় মৃত্যু বরণ করতে হত। সেই সময় দাবি করা হত, সতীদাহ প্রথার মাধ্যমে মৃত স্ত্রী সতিরূপে স্বর্গলাভ করবে।
৬. ভাইকিং ফিউনারেল (The Viking Funeral) :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/VikingFuneral.jpg)
এটি একটি অন্যতম নৃশংস সৎকার অনুষ্ঠান। এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে একটি অস্থায়ী কবরে দশ দিনের জন্য রাখা হত। পাশাপাশি চলত মৃতের জন্য নতুন জামাকাপড় তৈরির কাজ। অন্যদিকে একজন ক্রীতদাসীকে বেছে নেওয়া হত, যে ওই মৃত মানুষটির পরবর্তী জীবনের সঙ্গিনী হবে। এরপর সেই মেয়েটি ওই গ্রামের সকলের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। তাদের মতে এই বর্বরতায় নাকি ছিল মৃতব্যাক্তির প্রতি প্রেম নিবেদন। তারপর ওই দাসীর গলায় ফাঁস দিয়ে এবং সবশেষে ছুরি মেরে হত্যা করা হতো।
এরপর একটি কাঠের জাহাজে মৃত ব্যাক্তির সাথে তাকেও রেখে দিয়ে অগ্নি সংযোগ করা হত।
৭. আঙুলের আবৃততা (Ritual Finger Amputation) :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/Finger-Amputation.jpg)
এই মৃতদেহ সৎকারের নিয়মটি পাপুয়া নিউ গিনির দানি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত।
এই নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কোনো প্রিয় ব্যক্তি মারা গেলে তার সঙ্গে সম্বন্ধিত মহিলা ও শিশুরা তাদের আঙুলের কিছু অংশ কেটে ফেলত। এরপর কাদা ও ছাই মুখে মেখে মৃতব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করত।
৮. টোটেম পোলস (Mortuary Totem Poles) :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/Mortuary-Totem-Poles-1024x686.jpg)
স্থানীয় সভ্যতার বিভিন্ন গল্প তুলে ধরার জন্য টোটেম পোল তৈরি করা হয়। হায়দা উপজাতির মধ্যে এই রীতি দেখতে পাওয়া যায়। এই রীতি অনুযায়ী মৃতব্যাক্তির শরীরকে পেটানো হবে যতক্ষন না এটি একটি ছোট বাক্সে এঁটে যায়।এরপর এই বাক্সটি একটি টোটেম পোল এর উপর রেখে মৃত ব্যাক্তির বাড়ির সামনে রেখে আসা হয়।
৯. বারিড ইন ফ্যান্টাসি কফিন (Buried in a fantasy Coffin) :
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/Buried-in-a-fantasy-Coffin.jpg)
এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে এমন একটি কফিনে রাখা হয় যেটি তার জীবনকে অথবা পেশাকে উপস্থাপনা করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিমান চালক কে বিমানরূপী কফিনে, কোনো জেলেকে মাছরূপী কফিনে আবার কোনো ধনী ব্যাবসায়ীকে একটি দামি গাড়ীরূপী কফিনে রাখা হয়।
১০. অন্ধ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (Blindfolded funeral) :
এই মৃতদেহ সৎকারের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহের চোখ বেঁধে তাকে বাড়ির মুখ্য দরজার সামনে রেখে দেওয়া হয়। এটি দেখা যায় উত্তর পশ্চিম ফিলিপিনেসে।
এছাড়াও সারা পৃথিবী জুড়ে আরও নানান ধরনের অদ্ভুত এবং ভয়ংকর সৎকার অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়া যায়।