Connect with us

দেশ

“চুক্তি ভিত্তিক কৃষিতে আগ্রহী নই” কৃষক বিক্ষোভের মাঝে সাফাই রিলায়্যান্সের!

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্প্রতি রিলায়্যান্স পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় জমি কেনার কথা অস্বীকার করেছে। তার জেরে বিগত কয়েক দিনে দুই রাজ্যে জায়গায় জায়গায় রিল্যায়েন্সের সম্পত্তি তছনছ করার অভিযোগ সামনে এসেছে। কেবলমাত্র পঞ্জাবেই রিলায়্যান্স জিয়ো-র ১৫০০-টির বেশি টেলিকম টাওয়ারে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় রিলায়্যান্সেলের বিভিন্ন দফতরে। কেটে দেওয়া হয় কেবল সংযোগও। এমনকি জেনারেটর চুরির অভিযোগও করা হয়েছে সংস্থার তরফে। পঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলে মোদি-আম্বানি-আদানি এর কুশ পুতুল জ্বালানো হয়। নিজের সংস্থার ক্ষতি হচ্ছে দেখে শেষ মেষ সোমবার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রিলায়্যান্স কর্তৃপক্ষ।

মুকেশ আম্বানির সঙ্গে বিতর্কিত নতুন কৃষি আইনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজে তারা আগ্রহী নয়। কৃষক আন্দোলনের আঁচ গায়ে পড়তেই বিতর্কিত আইনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ ঝেড়ে ফেলল আম্বানির রিলায়্যান্স।

একটি বিবৃতিতে সোমবার সংস্থার তরফে বলা হয়ছে, ‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় আনমাদের হাজার হাজার কর্মীর জীবন বিপন্ন। সংস্থার যোগাযোগ পরিকাঠামো অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু রিলায়্যান্স রিটেল লিমিটেড, রিলায়্যান্স জিয়ো ইনফিকোম অথবা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অতীতে কখনও কর্পোরেট বা চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজে হাত দেয়নি। আর এই ব্যবসায় ঢোকার কোনও ইচ্ছেও নেই। পঞ্জাব, হরিয়ানা বা দেশের অন্য কোথাও চাষের জমিও কেনেনি রিলায়্যান্স এবং তাদের ভর্তুকিপ্রাপ্ত কোনও সংস্থা। তেমন কোনও পরিকল্পনাও নেই’।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উপকণ্ঠে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে যে আন্দোলন চলছে, তাতে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স এবং আদানি গোষ্ঠীর উপরও রাগ গিয়ে পড়েছে কৃষকদের। আন্দোলনরত কৃষকরা বার বার অভিযোগ করেছেন, কৃষিকাজের বাণিজ্যিকীকরণ করে মোদি সরকার আসলে অম্বানী-আদানিদের সুবিধা করে দিতে চাইছে।

দেশ

কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ‌্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।

কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।

মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ‌্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট