দেশ
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে! শ্মশানে ছাদ ভেঙে মৃত্যু ২২ জনের!
নিজস্ব প্রতিনিধি : উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হল বহু মানুষের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মুরাদনগরে। সেখানে একটি শ্মশানে বসার জায়গার ছাদ ভেঙে অন্তত ২২ জন মারা গিয়েছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন কুড়ি জনের বেশি। প্রবল বৃষ্টিতে ছাদটি ভেঙে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন।
উত্তরপ্রদেশে মৃতদের অধিকাংশই স্থানীয় জনৈক জয় রামের দেহ নিয়ে এসেছিলেন শ্মশানে। তার দেহ দাহ করার সময়ে তেড়ে বৃষ্টি নামে। সকলে ছুটে যান বিশ্রাম নেওয়ার জায়গায়। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ছাদ।
গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা বলেন, “NDRF টিম ইতিমধ্যেই উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের বক্তব্য, আহতের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও তাদের অনেককেই বাড়িতে নিয়ে যান তাদের পরিজন। কাজেই তাদের খোঁজ না-পাওয়া পর্যন্ত আহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে না।”
ডিভিশনাল কমিশনার অনিতা সি মেশরাম বলেন, ‘কেন বৃষ্টিতে ছাদ ভাঙল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যাদের দোষে এতগুলি মানুষ প্রাণ হারালেন, তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘উদ্ধারকাজ শেষ করে এই ঘটনা নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে অফিসারদের থেকে। যারা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,তাদের এবং তাঁদের সকলের পরিবারের পাশে সরকার রয়েছে।’
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।