শিক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয় গুলি চালু করার নির্দেশ ইউজিসির
নিজস্ব প্রতিনিধি : সমাপ্ত হতে চলেছে ছুটির দিনগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সারাদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রায় সাত মাসের লকডাউন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পুনরায় চালু করার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।
৫০ শতাংশের বেশি কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকা উচিত হবে না বলে জানিয়েছে ইউজিসি। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গবেষণা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস চলবে।
নির্দেশিকা অনুসারে, শিক্ষার্থীরা চাইলে কলেজে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যেতে পারে। খোলা হবে সীমিত সংখ্যক হোস্টেল। একাধিক শিক্ষার্থীকে হোস্টেলের একই ঘরে থাকতে দেওয়া যাবে না।
যে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার আগে, নিশ্চিত করে নিতে হবে যে, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার সেই অঞ্চলটিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছে কিনা।
কোভিড-১৯ এর দ্রুত বিস্তারের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ খোলার বিষয়ে পরামর্শ গ্ৰহণ করা হচ্ছে। সমস্তকিছু ভালো ভাবে যাচাই করে এবং সরকারের নিয়ম বিধি মেনেই শুরু হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক বলেছেন, “এই নতুন চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুত। ইউজিসি সমস্ত বিকল্প বিবেচনা রেখে, কলেজের প্রাঙ্গণ পুনরায় খোলার জন্য নতুন নির্দেশিকা তৈরি করেছে। এই নির্দেশিকাও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে”।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুখোশ পরা বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি বিভিন্ন সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে পর্যায়ক্রমে ক্যাম্পাসগুলি খুলতে পারে। এর মধ্যে প্রশাসনিক অফিস, গবেষণা পরীক্ষাগার এবং গ্রন্থাগার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গবেষণা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং গবেষণা কোর্সে অংশ নিতে পারবেন। গবেষণায় জড়িতদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে সামাজিক দূরত্ব এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সহজেই প্রয়োগ করা যেতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইউজিসি।
তবে, সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ক্লাস পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হবে, বলে জানা গেছে।
শিক্ষা
ICSE দশম ও ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন ঘোষণা করলো বোর্ড।
নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় একবছর বন্ধ বিদ্যালয়, তবে একে বারে বন্ধ হয়ে যায়নি পঠন পাঠন। ভার্চুয়াল ভাবেই চলছিল শিক্ষার আদান-প্রদান। এবার পরীক্ষা নেওয়ার পালা। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন থাকায় কবে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় সেই জট কেটেছে। কাজেই আর দেরি না করে প্রকাশ করা হল বোর্ডের পরীক্ষার সূচি।
গত সোমবার সন্ধ্যায় আইসিএসই বোর্ড কর্তৃপক্ষ আগামী পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে না বরং লিখিত মাধ্যমেই হবে এই পরীক্ষা গুলি। মে মাসের ৫ তারিখেই শুরু হচ্ছে দশম শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা, চলবে জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত। অন্য দিকে আইএসসি, অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৮ এপ্রিল, পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ১৬ জুন।
দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন হবে ৮ এপ্রিল, হোম সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন এবং ইন্ডিয়ান মিউজ়িক কর্নাটকি পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল হবে ৯ এপ্রিল। বাকি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা গুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যালয় গুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে নিজেদের সুবিধামতো সেই সমস্ত পরীক্ষা নিতে পারবে স্কুলগুলি। পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি জানা যাবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.cisce.org)।
আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানিয়েছিলেন, এ বার পরীক্ষা হবে কোভিড-বিধি মেনে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মাস্ক ও নিজস্ব স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে আনতে হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা দস্তানা পড়বেন কি না সেই বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট বিধি জানায়নি বোর্ড। এ বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাধীনতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে রাখতে হবে জলের বোতলও। এই সমস্ত নিয়ম ছাড়াও আরও বেশকিছু বিধি ঘোষণা করেছে বোর্ড। এবার বন্ধু বান্ধবী মিলে আর টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না। পরীক্ষার সরঞ্জাম তথা পেন, স্কেল প্রভৃতি নেওয়া যাবে না অন্যের কাছ থেকে। মূলত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে যেতেই ব্যবস্থা।
দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। প্রশ্ন পত্র দেওয়া হবে ১০টা ৪৫ মিনিটে। উত্তর লেখা শুরু করতে হবে ১১টা থেকে। অন্য দিকে, দ্বাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ১টা ৪৫ মিনিটে দিয়ে দেওয়া হবে প্রশ্নপত্র। লেখা শুরু করা যাবে দুপুর ২টোয়।